২৬ এপ্রিল ২০২৪ / ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:১২/ শুক্রবার
এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ২:১২ পূর্বাহ্ণ

টার্কি খেয়ে ‘ব্লাক ফ্রাইডে’ জ্বরে আক্রান্ত দুই তৃতীয়াংশ মার্কিনি

     

বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক:

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’তে পারিবারিকভাবে প্রতিটি ঘরেই টার্কি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ আর নৈশ্যভোজের পর ‘ব্লাক ফ্রাইডে’ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে দুই তৃতীয়াংশ মার্কিনি। তারা একদিনের জন্য কেনাকাটায় নেমেছে। ‘ব্লাক ফ্রাইডে’র বিরাট মূল্যহ্রাসের স্থায়িত্ব মাত্র একদিন। যুগ যুগ ধরে প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ শুক্রবার ব্লাক ফ্রাইডে’র বিরাট মূল্যহ্রাসের প্রথার প্রচলন রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
প্রতিবছর নভেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে সরকারিভাবে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উদযাপন করা হয়। থ্যাঙ্কস গিভিং ডে’র পরের দিনকেই ‘ব্লাক ফ্রাইডে’ বলা হয়ে থাকে। এ দিনের জন্যও মানুষের অপেক্ষার কমতি নেই। এক বছর ধরেই অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষজন কম দামে ভাল একটা কিছু কেনার জন্য এই দিন অপেক্ষায় থাকে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই টিভি ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া তাদের পণ্যের মুল্যহ্রাসের তালিকা। শতকরা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ মুল্যহ্রাস করা হয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির। তবে এই দিনে অনেকের চাহিদা ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্যের। এর মধ্যে টিভি, ফ্রিজ,‌ ল্যাপটপ, কম্পিউটার, আইফোন, আইপ্যাড ইত্যাদি দ্রব্যের প্রতি মানুষের বেশি চাহিদা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোর ৬টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন দোকানে প্রবেশের জন্য। কিন্তু এবারে ঘটছে একটু ব্যতিক্রম। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পরিবর্তে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮/৯টায় অধিকাংশ দোকানপাট খোলা হচ্ছে। তাই বিকেল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
তবে ব্লাক ফ্রাইডের বেচাকেনা নিয়ে অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি আইটেম মাত্র ১০/১২টি পিস-এর গায়ে সেল লেখিয়ে ক্রেতাদেরকে দোকানে নিয়ে আসার অভিনব চেষ্টা করা হয়ে থাকে। আগে আসলে আগে পাবেন এই প্রক্রিয়ায় চলছে ব্লাক ফ্রাইডের বেচাকেনা। এ ব্যাপারে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের কর্মকর্তা বলেন, একটি নির্দিষ্ট দ্রব্যের জন্য যত লোক দোকানে আসেন তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ফিরে যান খালি হাতে। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কেন যে এত ক্রেজি (পাগল) তা বোঝা মুশকিল। তবে অনেকেই এখন সচেতন হয়েছে। দোকানে গিয়ে হুমড়ি না খেয়ে তারা এখন ঘরে বসেই অনলাইনে ব্লাক ফ্রাইডে’র মূল্যহ্রাসের কেনাকাটা করে থাকেন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply