২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৪৬/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

রাবিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এই সরকারের পতন আর বেশী দূরে নয়: মিনু

     

বাংলাদেশ কোন উপনিবেশিক শক্তির নিকট কোন দিন মাথা নত করেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত লোক দেখানো সহযোগিতা করে বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু নিয়ে গেছে। এখনো নিচ্ছে। আবার সে সময়ে বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। সে সময়ে না পারলেও এখন ভারত বাংলাদেশকে অঙ্গ রাজ্য হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে। এর কারন বর্তমান অবৈধ সরকার তাদের নিকট জিম্মি হয়েছে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের আয়োজনে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান বিনা ভোটের সরকার ভারতের ‘র’ এবং দেশের কিছু আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর ভর করে টিকে আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যেমন বাংলাদেশের জনগণের উপর হায়নার মত ঝাপিয়ে পড়েছিল। তারা নিরহ মানুষকে হত্যা করেছিল। দেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। তেমনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের তৈরী রক্ষীবাহিনী দেশের মানুষের উপর পাকিস্তানীদের থেকেও বেশী নির্যাতন করেছে। তাদের হাত থেকে নারী, শিশু কেউ রক্ষা পায়নি। এই বিশৃংখলা অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই এই জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল। সে সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কারাগার থেকে জনগণ বের করে নিয়ে এসেছিল। বেড়িয়ে এসে তিনি দেশের হাল ধরেন। দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করেন। তাঁর হাত ধরেই দেশের উন্নয়ন শুরু হয় বলে উল্লেখ করেন মিনু।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাঁর স্ত্রী তিনবারের সফল প্রদানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে পূণরায় দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বি ত করেন। অথচ এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এসে এখন বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নিত্য প্রয়োজীয় দ্রব্যের আকাশচুম্বী মুল্য বৃদ্ধি কারনে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। পেঁয়াজ নিয়ে সরকার যা ইচ্ছা তাই শুরু করেছে। আবার গতকাল থেকে শুরু হয়েছে লবন নিয়ে। শেখ হাসিার বাবার আমলে লবনের মূল্য যেমন চল্লিশ টাকা কেজি হয়েছিল। তেমনি গতকাল থেকে ৩০টাকা কেজির লবন হঠাৎ করেই ৮০-১০০টাকা কেজি হয়ে গেছে। এই সরকারের কোন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নাই। এই অবস্থায় জনগণ সরকারের প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে গেছে। এখন সময়ের ব্যাপার সরকার পতনের। বেগম জিয়ার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন। এই আন্দোলনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির আন্দোলনের মতই রাজপথে নামার জন্য নেতাকর্মীসহ দেশের জনগণকে আহবান জানান মিনু।

রাজশাহী বিশ্বব্যিধালয়ে ডীন ভবনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. হাবীবুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন কুষ্টিয়া বিশ্বুবিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
এছাড়াও শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ, রাবি’র সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ফাইসুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের সাবেক সভাপতি প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, সাদা দলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোহাঃ এনামুল হক, কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ফজলুল হক, সিন্ডিকেট মেম্বর প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সামসুজ্জোহা, ভেটেনারী সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ সরওয়ার জহাহান লিটন ও প্রাণ রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মাসুদল হাসান মুক্তাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, রাবি ছাত্রদল নেতাকর্মী ও অন্যান্য শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply