১৬ এপ্রিল ২০২৪ / ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:০৮/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারার পরুয়া পাড়া উপকূলে একটি জাহাজ চরাঞ্চলে আটকে পড়েছে

     

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে  চট্টগ্রাম , কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে মহা বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আনোয়ারা উপকূলে উত্তর পরুয়া পাড়া গ্রামে সাগরের প্রবল স্রোতের ধাক্কায় চরাঞ্চলে একটি জাহাজ আটকে গেছে। জাহাজটি দেশীয় নয় বলে স্হানীয় জনগণ ধারনা করছে। আজ সকাল ১১টার দিকে এইটি আটকে যায়। অতি বেগে উপকূল অঞ্চলে বাতাস বইছে। বার আউলিয়া , ঘাটকুল ও সরেঙ্গা ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ দিয়ে হু- হু করে সাগরের নোনা পানি ঢুকেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে এখনো মানুষ জন মানবেতর জীবন যাপন করছে। কাচাঁঘর ঘর ভেঙ্গে গেছে অসংখ্য। গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। বাতাসের তীব্রতা এখনো কমছে না, বৃষ্টিও হচ্ছে। উদ্বেগ ও আতংকে উপকুলবাসী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণের দাবীটি এখন আবারো জোরালো হয়ে উঠছে। মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি দফায় দফায় প্রতিনিধির মাধ্যমে উপকূলবাসীর খবর নিচ্ছেন।বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্হানীয় রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরাও মাঠে রয়েছে।আনোয়ারায় শঙ্ক নদীতে ডুবে একজন বাক প্রতিবন্ধীর করুণ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে কক্সবাজার উপকূলের দুই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে চকরিয়ায় ২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ বলেন, ভোর ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সেন্টমার্টিনে আঘাত হানে। এতে এ ইউনিয়নে দেড় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আশপাশের অন্তত ৭০ ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে। এখানে এখন প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন এলাকায়ও বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে কিছু গাছপালা। এছাড়া কিছু লোক আহত হয়েছে বলে শুনেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, উপকূলীয় এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় ৪১৪টি ইউনিটের ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply