২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৫৯/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ

সেরা ১৪১ করদাতা পাচ্ছেন ‘ট্যাক্সকার্ড’

     

সেরা করদাতা হিসেবে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্সকার্ড দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এদের মধ্যে ব্যক্তি রয়েছেন ৭৪ জন, বাকিগুলো প্রতিষ্ঠান। সবার নামের তালিকা উল্লেখ করে ৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।

ব্যক্তি পর্যায়ে ট্যাক্সকার্ড দিতে ‘বিশেষ শ্রেণি’ এবং ‘আয়ের উৎস বা পেশা’ নামের দুটি শ্রেণি করা হয়েছে। বিশেষ শ্রেণির মধ্যে রয়েছে সিনিয়র সিটিজেন, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, নারী এবং তরুণ।

আয়ের উৎস বা পেশার মধ্যে রয়েছে ১৩টি শ্রেণি। এগুলো হচ্ছে ব্যবসায়ী, বেতনভোগী, ডাক্তার, সাংবাদিক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি, হিসাবরক্ষক, নতুন করদাতা, খেলোয়াড়, অভিনেতা-অভিনেত্রী, শিল্পী (গায়ক-গায়িকা) এবং অন্যান্য। এছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোম্পানি পর্যায়ে ট্যাক্সকার্ড পাচ্ছে ৫৭টি কোম্পানি।

যোগ্য করদাতা হিসেবে সবাইকে চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা দেবে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী, ট্যাক্সকার্ডধারীদের সরকার বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানাবে।

সিনিয়র সিটিজেন: এ শ্রেণিতে ট্যাক্সকার্ড পাবেন স্যামুয়েল এস চৌধুরী, তপন চৌধুরী ও রাজশাহীর অনিতা চৌধুরী এবং গোলাম দস্তগীর গাজী ও খন্দকার বদরুল হাসান। তাঁদের মধ্যে সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) করদাতা। স্যামুয়েল এস চৌধুরী ও অনিতা চৌধুরী রাজশাহী কর অঞ্চল এবং খন্দকার বদরুল হাসান ঢাকা কর অঞ্চল ৩-এর করদাতা।

গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা: এ শ্রেণিতে ট্যাক্সকার্ড পাবেন ঢাকার চারটি কর অঞ্চলের লে. জেনারেল আবু সালেহ মো. নাসিম (অব.), মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, এস এম আবদুল ওয়াহাব, মো. ইদ্রিস আলী মিয়া এবং মো. আতাউর রউফ।

নারী: এ শ্রেণিতে ঢাকার কর অঞ্চল–৩-এর রুবাইয়াত ফারজানা হোসেন, কর অঞ্চল–৬-এর মাহমুদা আলী শিকদার ও কর অঞ্চল–৯-এর পারভীন হাসান এবং রাজশাহী কর অঞ্চলের রত্না পাত্র ও রংপুর কর অঞ্চলের নিশাত ফারজানা চৌধুরী ট্যাক্সকার্ড পাবেন।

তরুণ: এ শ্রেণিতে রয়েছেন এলটিইউর করদাতা নাফিস সিকদার, ঢাকার কর অঞ্চল–৪-এর গাজী গোলাম মতুর্জা, কর অঞ্চল–৩-এর মো. হাসান, কর অঞ্চল–১০–এর জুলফিকার হোসেন মাসুদ রানা এবং চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–৪-এর মো. আমজাদ খান।

প্রতিবন্ধী: এ শ্রেণিতে ঢাকার কেউ পাননি। পাচ্ছেন চট্টগ্রামের সুকর্ণ ঘোষ, সিলেটের মো. মামুনুর রশিদ ও খুলনার কাজী আখতার হোসেন।

ব্যবসায়ী: এ শ্রেণিতে রয়েছেন ঢাকার কর অঞ্চল–২-এর মো. কাউছ মিয়া, কর অঞ্চল–১২-এর আব্দুল কাদির মোল্লা, কর অঞ্চল–১৫-এর কামরুল আশরাফ খান, এলটিইউর সৈয়দ আবুল হোসেন এবং কর অঞ্চল–১০-এর মো. নুরুজ্জামান খান।

বেতনভোগী: কর অঞ্চল–৩ ও ৮-এর এ শ্রেণির পাঁচজনের ঠিকানা একই। তাঁরা হলেন লায়লা হোসেন, মোহাম্মদ ইউসুফ, হোসনে আরা হোসেন, খাজা তাজমহল এবং এম এ হায়দার হোসেন।

চিকিৎসক: এ শ্রেণির সেরা পাঁচ করদাতাই কর অঞ্চল–১০-এর। তাঁরা হলেন এ কে এম ফজলুল হক, প্রাণ গোপাল দত্ত, জাহাঙ্গীর কবির, এন এ এম মোমেনুজ্জামান ও মো. নুরুল ইসলাম।

আইনজীবী: এ শ্রেণির সবাই কর অঞ্চল–৮-এর। তালিকায় রয়েছেন মাহবুবে আলম, শেখ ফজলে নূর তাপস, আহসানুল করিম, কাজী মুহাম্মদ তানজীবুল আলম ও নিহাদ কবির।

খেলোয়াড়: এ শ্রেণিতে রয়েছেন তিন ক্রিকেটার। কর অঞ্চল–৭-এর সাকিব আল হাসান এবং কর অঞ্চল–১-এর তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা।

অভিনেতা/অভিনেত্রী: এ শ্রেণিতে রয়েছেন সাকিব খান রানা, মাহফুজ আহমেদ, এম এ জলিল অনন্ত এবং এস এ আবুল হায়াত।

শিল্পী: এ শ্রেণিতে রয়েছেন রুনা লায়লা, তাহসান রহমান খান ও এস ডি রুবেল।

স্থপতি: এ শ্রেণিতে তিনজন পাবেন ট্যাক্সকার্ড। তাঁরা হলেন ফয়েজ উল্লাহ, হাসান সামস উদ্দীন ও ইকবাল হাবিব।

প্রকৌশলী: এ শ্রেণিতে ঢাকার কেউ পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, রাজশাহীর মো. হাফিজুর রহমান ও বগুড়ার মোহাম্মদ হামিদুল হক।

হিসাবরক্ষক: এ শ্রেণিতে কার্ড পাচ্ছেন ঢাকার মো. মোক্তার হোসেন, এম বি এম লুৎফুল হাদী ও বিমলেন্দু চক্রবর্ত্তী।

নতুন করদাতা: এ শ্রেণিতে সাতজনের মধ্যে ঢাকার মিয়া মনিকা রফিকুলোভনা, তাফিজুল ইসলাম পিয়াল ও সাইফুল ইসলাম, সিলেটের রানা মালিক, মোসাম্মাৎ সেলিনা আক্তার ও রাসেল রায় এবং রাজশাহীর মোছা. ছিয়াতুন নেছা।

অন্যান্য: এলটিইউর করদাতা এ শ্রেণিতে পাচ্ছেন সদর উদ্দিন খান, আবু মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন খান ও নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ব্যাংকিং: প্রাতিষ্ঠানিক করদাতার এ শ্রেণিতে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এইচএসবিসি, সাউথইস্ট ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।

অব্যাংকিং আর্থিক: এ শ্রেণিতে রয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড এবং উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক: প্রাতিষ্ঠানিক করদাতার এ শ্রেণিতে রয়েছে নেসলে বাংলাদেশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও ট্রান্সকম বেভারেজেস।

প্রকৌশল: এ শ্রেণিতে বিএসআরএম স্টিলস, পিএইচপি কোল্ড রোলিং মিলস এবং পিএইচপি নফ কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিং মিলস কার্ড পাচ্ছে।

তৈরি পোশাক: এ শ্রেণিতে কার্ড পাচ্ছে রিফাত গার্মেন্টস, জিএমএস কম্পোজিট, দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার, ফোর এইচ ফ্যাশন, কেডিএস গার্মেন্টস ও অ্যাপেক্স লেনজারি।

এছাড়া টেলিযোগাযোগে গ্রামীণফোন; জ্বালানিতে তিতাস গ্যাস, সিলেট গ্যাস ও শেভরন বাংলাদেশ; পাটশিল্পে জনতা জুট, সুপার জুট ও আইয়ান জুট; আবাসনে স্পেসজিরো, বে ডেভেলপমেন্টস ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স; চামড়াশিল্পে বাটা শু, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার ও লালমাই ফুটওয়্যার; অন্যান্য শ্রেণিতে ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো, মেটলাইফ, লাফার্জহোলসিম ও নিটল মোটরস; অন্যান্য করদাতার ফার্ম পর্যায়ে ওয়ালটন মাইক্রোটেক করপোরেশন, এস এন করপোরেশন, ওয়ালটন প্লাজা ও এ এস বি এস কার্ড পাচ্ছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply