২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:১১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

শ্রেণি কক্ষ সংকট কুড়িগ্রামের চিলমারীতে একটি বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায় পাঠদান

     

 

সাইফুর রহমান শামীম
শ্রেণি কক্ষের সংকটে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলা আকাশের নিচে গাছ তলায় চলছে পাঠ দান। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে বিভিন্ন অবকাঠামোসহ শিক্ষক সংকট। এ অবস্থায় দিনের পর দিন লেখা-পড়ায় বিঘœ ঘটায় অন্যান্য বিদ্যালয়ের তুলনায় পড়া-লেখায় পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিন রুম বিশিষ্ট একটি পুরনো ভবন থাকলেও সেটিও হয়ে পড়েছে ঝুকিপূর্ণ। ঝুকিপূর্ণ ভবনে ভয় ভিতির মধ্যে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্লাস করলেও কক্ষ আর অবকাঠামোর অভাবে ১ম শ্রেণির ৪০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহন করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিছে গাছ তলায়।
১৯৮৫ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা মিনাবাজার এলাকায় ব্যাপারী পাড়া গ্রামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর একটি তিন রুম বিশিষ্ট ভবন নির্মান হলেও তা এখন ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেও ছাদ বেয়ে পানি পরে। ফলে শিক্ষার্থীদের বৃষ্টির সময় এক পাশে দাড়িয়ে থাকতে হয়। তবু গাদাগাদি করে পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
স্থান সংকুলান না হওয়া প্রথম শ্রণির শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা একটি গাছ তলায়। ঝুকিপূর্ন ভবনের সাথে সাথে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা অপরদিকে অভিভাবকগণ পড়েছেন মহা চিন্তায় আর এই কারনে অনেক অভিভাবক সন্তানদের অন্য দুরের স্কুলে ভর্তি করছে বলেও জানান এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন অনেক দিনের পুরানো এই ভবনে আমাদের ক্লাস করতে ভয় করে আর বৃষ্টি হলে তো ছুটি ছাড়া উপায় নাই।
১ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিফাত অভিযোগ করে বলেন, খোলা আকাশের নিছে পড়াশুনা করতে ভালো লাগে না।
শ্রেণি শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, খোলা স্থানে গাছ তলায় পাঠদান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পড়ার সময় ছাত্র/ছাত্রীদের মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়।
ঝুকিপূর্ন ভবন ও শ্রেণি সংকটের কথা স্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম বলেন, শ্রেণি সংকটের কারণে শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
এব্যাপারে চিলমারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাখাওয়াৎ হোসেন জানান, ভবন ঝুকিপূর্ন কি না তা দেখার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের। আর উক্ত বিদ্যালয়ের শ্রেণি সংকটের বিষয়টি আমার জানা নেই।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply