২৪ এপ্রিল ২০২৪ / ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৩১/ বুধবার
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৭:৩১ অপরাহ্ণ

নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ সভা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান নিউ ইয়র্ক প্রবাসীদের

     

বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে বাংলাদেশের সাম্প্রায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও প্রবাসে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতি এবং ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, ঠিক সেই সময় সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে। সাম্প্রতি ভোলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত প্রবাসী নাগরিক সমাজ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
সাংবাদিক মুজাহিদ আনসারির পরিচালায় প্রতিবাদ ও সম্প্রীতির সভায় সৈয়দ মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, বর্তমান সময়ে ভয়াবহ সংকটে বাংলাদেশ। এই সংকটের সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এই আন্দোলন আমাদের প্রবাস থেকেই শুরু করতে হবে।
মুহম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই একটি গোষ্ঠি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন, তারা মনে করেছিলো সরকার বা দলে সংকট শুরু হয়েছে। সেই সংকটকে কাজে লাগিয়ে দেশবিরোধী শক্তি আবারো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করার জন্য ৩০ লাখ শহীদ জীবন দিয়েছে, ২ লাখ মা বোন ইজ্জত দিয়েছে, সেই দেশের মানুষ কখনো বাংলাদেশকে পাকিস্তান হতে দেবে না।
সৈয়দ জাকির হোসেন রনি বলেন, এই সংগ্রাম আমাদের দীর্ঘদিনের। আমরা অনেক থেকেই বলে আসছি ধর্মান্ধ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। কিš‘ সরকারের একটি মহল ভোটের রাজনীতির জন্য তাদের সাথে সমঝোতা করে যা”েছন। যে কারণেই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, এখন সারা বিশ্বেই এই শক্তির উত্থান। যে কারণে সারা বিশ্ব চলছে অস্থিরতা।
সুব্রত বিশ্বাস বলেন, এটা নতুন কোন ঘটনা নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রামু, রংপুরে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়। কিš‘ কারোরই বিচার হয়নি। যে কারণে একের পর এক হামলা হছে। তিনি বলেন, আগের ঘটনাগুলোর বিচার হলে আজ এই ঘটনা ঘটতো না। বিপ্লবকে জেলে যেতে হতো না। যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে এক সেই জেলে যেত।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্যাহ, ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ,সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা জাকির হোসেন বাচ্চু,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির স্বীকৃতি বড়ুয়া, ফাহিম রেজা নূর, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের নূরে আলম গেদু, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারী,গণজাগরণ মঞ্চের সৈয়দ জাকির আহমেদ,যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর সুব্রত বিশ্বাস,মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার,প্রোগ্রেসিভ ফোরামের খোরশেদুল ইসলাম,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের শাহীন আজমল, ভোলার প্রবীর রায়,মুক্তিযোদ্ধা মেজর এহসান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোপাল স্যান্যাল, সাংবাদিক সঞ্জিবন কুমার সরকার ও সংস্কৃতি কর্মী শুভ রায় প্রমুখ।
এছাড়াও জাকির হোসেন বাবু, সুশীল সাহা, দীনেশ চন্দ্র মজুমদার, শিতাংশু গুহ,শিবলী সাদিক,আব্দুল আলিম, বিশ্বজিৎ সাহা, মাহমুদ আজম, দীলিপ চক্রবর্তী, মাকসুদা আহমেদ, বিদুৎ দাস,শফিউল আজম, সবিতা দাস, প্রতিমা সরকার, পপি ঘোষ, লিয়াকত আলী, মুক্তি সরকারসহ বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন  ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply