২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৪:০৬/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:০৬ অপরাহ্ণ

কানেকটিকাটের ম্যানচেস্টারে মসজিদের ইমাম লাঞ্ছিত

     

 বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক

 যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বায়তুল মামুর মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষের হাতে মসজিদের ইমাম লাঞ্ছিত হবার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত ২ সপ্তাহ ধরে ইমাম মসজিদে না আসায় নব গঠিত মাদ্রাসার আরবি শিক্ষাদান বন্ধ রয়েছে। একই সাথে মসজিদের মুসল্লিদের নিয়মিত নামাজ আদায়েও নানা অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বায়তুল মামুর মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের আহমেদ প্রতি সপ্তাহের ন্যায় মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশ করাচ্ছিলেন। মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে আসার কথা থাকলেও প্রায় আধা ঘন্টা বিলম্বে নিজ সন্তানকে নিয়ে আসেন মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়া। তিনি দরজার কড়া নাড়তে থাকেন।ভেতর ক্লাশ চলছিল তাই কড়ার শব্দ বুঝতে পারেননি ইমাম জোবায়ের আহমেদ।দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় ইমামের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারেক আম্বিয়া। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন ইমামকে।ইমাম তাকে ভদ্রভাবে কথার বলার অনুরোধ করলে তিনি আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এক পর্যায়ে তারেক ইমামকে পশুর সঙ্গে তুলনা করেন। এর কারণে ইমাম জোবায়ের আহমেদ চরম লাঞ্ছিতবোধ করেন।মনকষ্ট নিয়ে তিনি নিজ বাসায় ফিরে যান ইমাম। ওইদিন থেকে তিনি আর মসজিদে আসছেন না। বায়তুল মামুর মসজিদ কমিটির সকলেই এ ঘটনাটি জানলেও তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে ইমামের সাথে গোপনে বিষয়টি মিমাংসারও চেষ্টা চলছে।কিন্ত ইমাম জোবায়ের আহমেদ সাফ বলে দিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি সরাসরি তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।অন্যথায় কোন সুরাহা হবে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে প্রায় ১২ বছর আগে মসজিদ নির্মাণের প্রাক্কালে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হারুন আহমেদ ও জাহেদ চৌধুরী লিটন সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। তাদের এশিয়ান গ্রোসারী দোকানের বেসমেন্টে মুসলীদের জন্য নামাজের জায়গা তৈরি করে দিয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে মসজিদের ভেতরেই হারুন আহমেদ কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়ার দ্বারা লাঞ্ছিত করে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারেক আম্বিয়ার স্ত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন বাক-এর সাবেক গণসংযোগ সম্পাদক ও সংস্কৃতসেবী রওনাক আফরোজ। এসব ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা।কয়েক বছর আগে মোহাম্মদ বিল্লাহ নামের জনৈক মুসল্লী তার দেওয়া অনুদান কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়া নিজের ব্যক্তিগত হিসেব নম্বরে জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। পরে বিষয়টি সুরাহা হলেও সেই থেকে তিনি আর নামাজ পরতে ওই মসজিদে যান না। পার্শ্ববর্তী ইষ্ট হার্টফোর্ড মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। একই সময়ে একটি অডিট কমিটির দ্বারা মসজিদের হিসেব নিকাশের অডিত করা হলে ব্যাপক পরিমাণ অর্থের গড়মিল খুঁজে পান অডিট কমিটি। এ বিষয় নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকেই মসজিদ কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হয়। একক আধিপত্য ও আঞ্চলিকতা পরিহার করে এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে কোষাধ্যক্ষ তারেক আম্বিয়ার পদত্যাগ দাবি করেছেন মুসল্লীরা।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply