চট্টগ্রামে খুনের মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ
দশ বছর আগে কোতোয়ালীর এক বাসায় ঢুকে বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মীকে খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই মামলার পৃথক ধারায় আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। দণ্ডিত মো. সোলায়মান রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত মো. সোলায়মানকে (৩২) কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অতিরিক্ত মহানগর পিপি তসলিম উদ্দিন চৌধুরী লেন, ‘লুন্ঠন ও হত্যার উদ্দেশ্যে দণ্ডবিধির ৩৯৪ ও ৩০২ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিকে ৩৯৪ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস এবং ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। সাজার মেয়াদ আসামির হাজতবাসকালীন সময় থেকে বাদ যাবে বলে রায়ে আদালত উল্লেখ করেছেন।’
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কোতোয়ালী থানার বাণ্ডেল বাই লেইন এলাকায় নিজস্ব তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলায় তার ছেলে ফারুক হোসেন ও গৃহকর্মী পপিকে (৭) নিয়ে থাকতেন নূর জাহান বেগম (৭০)।২০০৯ সালের ১৮ অগাস্ট সকালে ফারুক বাসা থেকে বেরিয়ে নগরীর ফয়’স লেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যান। রাতে বোসায় ফিরে তিনি মা ও গৃহকর্মীর লাশ পান।
আইনজীবী তসলিম উদ্দীন বলেন, “আসামি সোলায়মান ঘর ভাড়া নেওয়া কথা বলে ওই বাসায় ঢুকেছিল। মালামাল লুট করতে সে পরে নূরজাহান বেগমের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা । ঘটনা দেখে ফেলায় পপিকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সে।দুইজনকে হত্যা করে নূরজাহান বেগমের গলার সোনার হার, কানের দুল ও চুড়িসহ মোট তিন ভরি আট আনা স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সোলায়মান।
এ ঘটনায় ফারুক হোসেনের করা মামলায় ২০১০ সালে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত রায় দেয়।