২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:০৫/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ১০:০৫ অপরাহ্ণ

নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজে লাগানোর দাবী-যাত্রী কল্যাণ সমিতি

     

ঢাকা:২১ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার
নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামাজিক গণজাগরণ তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ সড়কে প্রাণ দিচ্ছে, আহত হচ্ছে। তাদের সুরক্ষা দিতে এই দিবসটি অন্যান্য জাতীয় দিবসের ন্যায় গতানুগতিকভাবে একদিন পালন না করে, নিরাপদ সড়ক দিবসকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার সংক্রান্ত আলোচনা সভা, মসজিদ-মন্দির-গীর্জায় সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা সংক্রান্ত আলোচনাসহ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সমাজের সকল স্তরে নিরাপদ সড়কের বার্তা পৌঁছে দেওয়া গেলে দিবসটি ঊদযাপনের সুফল পাওয়া যাবে বলে দাবী করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণে মতে, ২০১৫ সাল থেকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বিগত ৪ বছরে ২১,৩৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯,৩১৫জন নিহত ও ৬৯,৪২৮জন আহত হয়েছে। তবে সংগঠিত দুর্ঘটনার সিংহভাগই সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় না। যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিগত ২০১৫ সালে ৬,৫৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮,৬৪২জন নিহত  ২১,৮৫৫জন আহত হয়েছে। ২০১৬ সালে ৪,৩১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬,০৫৫ জন নিহত ১৫,৯১৪ জন আহত হয়েছে। ২০১৭ সালে ৪,৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭,৩৯৭জন নিহত ১৬,১৯৩ জন আহত হয়েছে। ২০১৮ সালে ৫,৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭,২২১ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১৫,৪৬৬ জন।

বিগত ০৪ বছরে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৩১,০৯৪টি যানবাহন আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২১.৩৩ শতাংশ বাস, ২১.১৮ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ৬.৮৭ শতাংশ কার-জীপ-মাইক্রোবাস, ১৪.২৫ শতাংশ অটোরিক্সা, ১৮.৩৩ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৯.১৮ শতাংশ ব্যাটারী চালিত রিক্সা, ৮.৮৩ শতাংশ নছিমন করিমন ও ট্রাক্টর সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণকালে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান সরকারের সময়ে সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়নের ফলে যানবাহণের গতি বেড়েছে, এই সময়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালানো এবং বিপদজনক অভারটেকিং বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

আয়তন ও জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায়  বাংলাদেশে যেভাবে ছোট যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দুর্ঘটনা ও যানজট নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে।

২০২১ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে জাতিসংঘের অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সড়কে পথচারীর মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এই অঙ্গীকার নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করে সংগঠনটি।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply