১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:১৬/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ২:১৬ অপরাহ্ণ

পরিবেশ বিপর্যয়

     

বিজয় ধর
গ্রাম থেকে গ্রাম, শহর থেকে শহর দূষিত হওয়ার নেশায় ছুটেছে সবই। গ্রামের গাছ-গাছালি অক্সিজেন উৎপাদনে মনোনিবেশ না করে কার্বন-ডাই-অক্সসাইড নিতে নিতে হয়রান হচ্ছে। কার্বন-ডাই-অক্সসাইড নেওয়ার ব্যস্ত সময়ের ভিড়ে অক্সিজেন উৎপাদন আপন গতি হারিয়ে স্থবির হচ্ছে। কল –কারখানা, যানবাহন এবং মানুষের ঠোঁটের জলন্ত সিগারেটের উৎপাদিত ধোঁয়ার কার্বন –ডাই-অক্সসাইড ভয়াবহ দূষিত করছে নগরী।
মেঠো পথ গৌধূলির আলোয় গন্তব্য হারিয়ে পিছঢালাতে এসে ঠিকানা হারাচ্ছে। উন্নয়নের নেশায় ছুটছে মানুষ, ছুটছে গাড়ি, ছুটছে শহরতলী। মানুষ উন্নয়নের সংঞ্জা বলতেই শিখে নিয়েছে ভাল খাবার, রাজকীয় বাসস্থান, দামী পোশাক- গাড়ি , অঢেল টাকা-পয়সা, ক্ষমতা, সর্বোপরি উন্নত জীবন যাত্রা। আর এই উন্নত জীবনকে ছুঁতে গিয়ে নিজের চরিত্রের সাথে যোগ করছে স্বার্থপর, ধোঁকাবাজ, দূনীতিবাজ, চরিত্রহীন নামের নেতিবাচক শব্দ । সমাজের কাছে, আপন মানুষের কাছে, নিজের কাছে। হয়ত সমাজের কাছে বিত্তবান লোকটি আজ নিজের কাছে মনুষ্যত্বহীন। কিন্তু সবাই যদি এভাবে ভাবত … সহজ-সরল সাদামাটা নির্ভেজাল জীবন, যেখানে অল্প পেয়ে সন্তুষ্টি নিয়ে অন্যের ক্ষতি না করে, পরোপকারী মনোভাব নিয়ে , সৃষ্টিশীল কোন কাজের মাধ্যমে আজীবন মানুষের মাঝে বাঁচায় উন্নত জীবন। যদি শহরতলীর উন্নয়নে যেভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হচ্ছে সেভাবে না হলেও যদি তার খানিকটা পরিমান উন্নত হতে চাওয়া শহরতলী অক্সিজেন উৎপাদনে মনোনিবেশ করত। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েটের পাশাপাশি যদি কিছু মনুষ্যত্ববোধ সম্পন্ন মহানুভব মানুষ তৈরি করার বিদ্যালয় গড়ে উঠত। যদি আশে- পাশের মানুষগুলো অন্যের বিপদে ভিডিও গ্রাফার না হয়ে উদ্ধারকারী হত। যদি প্রতিটি প্রতিষ্টানে অসহায়দের জন্য আলাদা সেবার ব্যবস্থা থাকার থাকত যার খরচ তারা যে সমস্ত বিত্তবানের তাদের সেবা নিতে যায় তাদের কাছ থেকে সেবার দাম ১-২শতাংশ বেশি নিয়ে সংগ্রহ করত। যদি উন্নত হতে চাওয়া শহরতলী পরিচ্ছন্ন হতে চাইত আর তার খানিকটা ছাপ প্রতিটা মানুষের হৃদয়ে দিত। জ্বলে জ্বলে নিভে যায় প্রদীপ। ক্ষনে ক্ষনে দিন-মাস হয়ে সময় পৌঁছায় বছরের পর যুগে। এরি মাঝে পরিবর্তনের ছোঁয়ায় পাল্টে যায় সবই
। পাল্টে যাওয়া এই পরিবর্তনকে গায়ে মেখে কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে এক মুঠো ভালবাসা নিয়ে এই পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকার।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply