২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৮:২৮/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ

চেঙ্গী নদীতে দৃষ্টিনন্দন ময়ূর কল্পজাহাজ

     

 

শংকর চৌধুরী,খাগড়াছড়ি॥ তিন মাসের বর্ষাবাস (উপোস) শেষে পার্বত্য অঞ্চলের খাগড়াছড়িতে ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়েছে, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।

শুভ দিনটি উপলক্ষে রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোর থেকে জেলার শতবর্শী য়ংড বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, হাজার বাতি দান ও ধর্ম দেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রবারণা পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিকতা। এসময় জগতের সকল প্রাণীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বৌদ্ধ মূর্তি স্নান, ফুল-ফল দিয়ে প্রার্থনা করেন। এসময় যে যার সাধ্যমত ভান্তেকে ছোয়াইং (খাবার) প্রদান করেন। তবে একই ধর্মাবলম্বী হলেও অনেকটা ব্যতিক্রমীভাবে মারমা জনগোষ্ঠীর মানুষ ওয়া বা ওয়াগ্যো প্যোয় উৎসব পালন করছে।

সন্ধ্যায় চেঙ্গী নদীতে ভাসানো হয় দৃষ্টিনন্দন দুইটি ময়ূর কল্পজাহাজ। বাঁশ, বেত, কাঠ আর রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অপূর্ব কারু কাজে তৈরী করা হয় এগুলো। আর ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশে আকাশ প্রদীপ (ফানুস) উড়িয়ে এবং নদীতে বাতি ও হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করা হয়।

বৌদ্ধদের মতে, প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এ প্রবারণা পূর্ণিমার পর দিন থেকে এক মাস দেশের প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply