লামা মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন রোধে ডিপিপি প্রনয়ন হচ্ছে
মো.কামরুজ্জামান, লামা (বান্দরবান)
পার্বত্য জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদী ভাঙ্গন রোধে ডিপিপ প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরী কমিটি মাতামুহুরী লামা পৌরসভা ও রুপুসীপাড়ার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
জানাযায়, লামা পৌরসভাসহ গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি এলাকা ভাঙ্গন, জলাবদ্ধতা রোধসহ মাতামুহুরী নদীর প্রাকৃতিক গতিপ্রবাহ রক্ষার উদ্যাগ গ্রহন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর পানি প্রবাহের ধরণ, বাস্তবতা, ছড়া-খাল ও শাখা খালের অবস্থা-অবস্থান, নদীর নাব্যতা ইত্যাতি বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডেরএকটি টিম।
৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল থেকে মাতামুহুরী নদী ও নদীর ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন পাউবি প্রকৌশলীরা। লামা পৌর মেয়র মো: জহিরুল ইসলাম, লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও রুপুসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাছিংপ্রু মার্মা সম্ভাব্য ডিপিপি প্রাক্কলন প্রতিনিধি প্রকৌশলীদলকে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙ্গন কবলিত স্থানগুলো পরিদর্শন করান।
পরিদর্শন দলে ছিলেন, পরিচালক পরিকল্পনা-১, বাউবি কারিগরী কমিটির সদস্য ড. শ্যামল চন্দ্র দাশ, প্রধান পানি ব্যাবস্থাপনা দপ্তর বাউবি উপ- প্রধান (সমাজ বিজ্ঞান) সালমা বেগম, উপ-প্রধান মৎস্য পরিকল্পনা-৩ কারিগরী কমিটির সদস্য রহমত আলী ও পাউবি বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিবুল হাসান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা জানায়, নদীর ভাঙ্গন রোধ ও জলাবদ্ধতা নিরষণে শহর পয়েন্টে নদীর প্রায় পাঁচশ্ মিটার ড্রেজিং প্রকল্প থাকতে পারে। নদীতে সংযোগ ছড়া, নালা বা শাখা খালের অবস্থা, পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করে, সেসব পয়েন্ট গুলোতেও কিছু করতে হবে।
নদীর পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে প্রকৌশল দল জানান, ড্রেজিং এর মাধ্যমে কিছুটা সম্ভব। তবে স্থানীয়রা জমি নিয়ে আপত্তি না দিলে, নদীর দৃশ্যমান কাঠামো ঠিক রেখে ব্লক ও বেড়িবাধ নির্মান, আরসিসি ওয়াল দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব।
পৌর শহরের পাশ ঘেষে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নদী ও শহর রক্ষার পাশাপাশি শহরে প্রবেশের বিকল্প একটি সড়ক হবে। এছাড়া নদীর পূর্বতীরে শহর ঘেষে পশ্চিম পাশে একটি নান্দঁনিক পর্যটন স্পট গড়ে উঠবে।