১৯ মার্চ ২০২৪ / ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৩৯/ মঙ্গলবার
মার্চ ১৯, ২০২৪ ২:৩৯ অপরাহ্ণ

বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্যকে কুলাঙ্গার বললেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহবায়ক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন

     

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের ছাত্র বানিজ্য, ভর্তি বানিজ্য, নারী বানিজ্যের কথা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আপনার অবগত হয়েছেন। তিনি ছাত্রজীবনেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সাথে সংযুক্ত ছিলেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কুলাঙ্গার ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি।’
সোমবার দুপুর এক টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) কর্মরত সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়া থেকে সাময়িক বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহবায়ক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র স্বজনপ্রীতির কারনে তিনি এখনো উপাচার্যের পদে রয়েছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কুলাঙ্গার ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি। তিনি যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা তার অফিস ঘেরাও করে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো। তিনি বলেন, আমরা এ সম্পর্কে আগামীকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহবায়ক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত , গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়- গত ২২ আগস্ট প্রতিবেদন তৈরির জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বক্তব্য নিতে তার কার্যালয়ে যান ‘ডেইলি সান’ পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ফাতেমা তুজ জিনিয়া। এসময় উপাচার্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসের ব্যাখা চান। কর্তব্যরত সাংবাদিক স্ট্যাটাসের ব্যাখা দেন কিন্তু উপাচার্য তাকে হুমকি-ধামকি দেন ও অশোভন আচরণ করেন। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর আগেও ডেঙ্গু প্রকোপের সময় ক্লাসরুম পরিষ্কার নিয়ে কথা বলায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছিল খোন্দকার নাসির উদ্দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, খোন্দকার নাসির উদ্দিনে সেখানে এমন সৌরতান্তিক প্রশাসন ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যেখানে কেউ মত প্রকাশ তো দূরে থাক ফেসবুকে একটা স্টাটাস পর্যন্ত দিতে পারে না। খন্দকার নাসির উদ্দীন সেখানে খন্দকার মোশতাকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি শুধুমাত্র ফাতেমা তুজ জিনিয়াকেই নয় বিগত দিনে আরো অনেক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে।
মানববন্ধনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবির রায়হান বলেন, বাংলাদেশ সংবিধান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। একজন ভিসি নামক সৈরাচার যিনি তার কাজ-কর্মে সৈরাচারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তিনি শিক্ষার্থীদের মত হরণ করে স্বপদে বহাল থাকতে পারে না ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহদি আল মুনতাসিম বলেন, আমাদের বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। সবার মত একরকম নয়। শিক্ষার্থীরা তাদের মত প্রকাশ করতেই পারে। এজন্য শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে ভিসি স্ব-পদে বহাল থাকতে পারে না।
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply