ঢাবির সাবেক ছাত্র, সরকারি কলেজ-নীলফামারী এর প্রভাষক, এর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী, ডোমার সরকারি কলেজ-নীলফামারী এর প্রভাষক, সোলায়মান আলীর উপর ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন’ নেটওয়ার্ক অব ইয়াং নীলফামারীয়ানের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জিলানি বলেন, শিক্ষকেরা সমাজ গড়ার কারিগর । একজন শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়া মানে একটি সমাজকেই নাড়া দেয়া ।
সম্প্রতি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী জেলার ডোমার সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক সোলেমান আলীর উপর । আমরা এর উপর্যুক্ত বিচার চাই। জান যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর নীলফামারী কলেজে মুন্না নামক এক ছেলেকে বাংলা বিভাগের শিক্ষক ক্লাসে প্রশ্ন করে। সে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে সুলায়মান নামের এক শিক্ষার্থী হেঁসে উঠেন । পরবর্তীতে মুন্না তার বন্ধু -বান্ধব এবং এলাকার বখাটে ছেলেদের নিয়ে সোলায়মানকে কলেজের তিন তলায় নিয়ে মারধর করেন। ঘটনাক্রমে সোলাইমান আলি স্যার সেখানে উপস্থিত হন। তিনি তাকে মারধর করার কারন জানতে চাইলে, তারা স্যারকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করলে, এক পর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করেন। ছাত্রদের দ্বারা লাঞ্ছিত শিক্ষক সোলেমান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। হামলার পর তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কি-না, এ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ সম্পর্কে থানায় একটা মামলা করেছি। মামলায় মুন্নার তিনজন সহকারী গ্রেফতার হয়েছে। তারা হলেন নাজমুল, হালিম এবং আলঙ্গীর। এদের মধ্যে নাজমুল জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার মুল হোতা সৌকত এবং শান্ত এখনো গ্রেফতার হয়নি। শান্তোর সাথে কলেজের ছাত্রলীগের আতাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুলায়মান আলি। সুলায়মান আলি বলেন, এর আগেও সবুজ আহমেদ নামে এক স্যার তাদের এ রকম কর্মকাণ্ডের সম্মুখীন হয়েছিল। তিনি পরবর্তী সময়ে কলেজ ছেড়ে চলে যান