১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ৭:২৮/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

হালিশহরে ওয়াসার লাইনে লিকেজ ও সোয়ারেজে যুক্ত হয়ে ডায়রিয়া ও জন্ডিস প্রাণঘাতি আকারে রূপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষের নিরবতায় উদ্বেগ

     

হালিশহরে পানির লাইনে লিকেজ ও বাসা-বাড়ীর সোয়ারেজ এর জন্য সেফটি ট্যাঙ্ক না থাকায় পানির লাইনের সাথে যুক্ত হয়ে ড্রেনেজে মিলেছে। আর এ কারনে গত বছর পুরো হালিশহর জুড়ে ডায়ারিয়া ও জন্ডিস মহামারী আকারে ছড়ালেও চট্টগ্রাম ওয়াসা, সিটিকর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে বাসা-বাড়ীর মলমূত্র সরাসরি ড্রেনেজের সাথে যুক্ত হয়ে পুরো পরিবেশ যেমন দুষিত করছে, বাতাস কুলষিত, দুর্গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে আছে। আবার জলাবদ্ধতায় সমস্ত সড়কগুলি তলিয়ে গিয়ে মাটির সাথে মিশে আছে, ধুলাবালি ও আবর্জনায় পুরো হালিশহর যেন আবর্জনার স্তুপ, তেমনি হালিশহরে আবারও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব হয়ে প্রাণহানির সমুহ সম্ভাবনা দেখা দিলেও প্রশাসনের নির্বিকারে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে হালিশহরবাসীকে চরম দুর্দশা থেকে মুক্তি দানের দাবি জানিয়েছেন। ধুমপান বিষপান, ধুমপান ও তামাকজাত পণ্য সেবন যেমন মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমিন অনিরাপদ ও ভেজাল খাদ্য মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং জীনবরক্ষাকারী ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ির কারনে জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই মানুষের জীবন বাঁচানো, পরিবেশ দূষণ রোধ, নির্মল বায়ু, নিরাপদ ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করা না হলে মহাহারী ডায়রিয়া ও জন্ডিস পুনরায় প্রাণঘাতি ও ভয়ংকর হতে পারে। কিন্তু প্রশাসনের দায়িত্বশীল লোকজনের খামখেয়ালীপনায় যেন জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে না উঠে সে বিষয়ে যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত না হলে সত্যিকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং নগরীর ন্যাশনাল হাউজিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১নং দক্ষিন কাট্টলী ক্যাব ওয়ার্ড কমিটির ওরিয়েন্টেশনে বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ক্যাম্পইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস’র সহায়তায় পিপলস জুবিল্যান্ট এনগেজমেন্ট ফর টোবাকো ফ্রি চিটাগাং সিটি প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের আয়োজনে ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব ১১নং দক্ষিন কাট্টলী ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি নার্গিস আক্তার নীরা। প্রধান অতিথি ছিলেন হালিশহর ক্যাবের উপদেষ্ঠা ও সমাজ সেবক এস এম আজিজ, মূখ্য আলোচক ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনালী সন্দীপের উপদেষ্ঠা মিনহাজউদ্দীন কদভী, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব আকবর শাহ থানা সভাপতি ও লিও জেলা চেয়ারপার্সন ডাঃ মেসবাহ উদ্দীন তুহিন। আলোচনায় অংশনেন সোনালী সন্দীপের উপদেষ্ঠা ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন, ন্যাশনাল হাউজিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ জাফর আলম, ক্যাব হালিশহরের সভাপতি এমদাদুল করিম সৈকত, সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন, আলোকিত সংস্থার সেক্রেটারী আবদুল লতিফ, বাদসাহ, আবু ইউসুফ সন্দীপি, আবদুল হালিম নাছির, মোসাদ্দেক আহমদ, ক্যাব ডিপিও জহুরুল ইসলাম, জেড এইচ শিহাব প্রমুখ।

ক্যাব ডিপিও জহুরুল ইসলামের মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় তামাকজাত পণ্য ও ধুমপানের বিজ্ঞাপন বন্ধে আইনী প্রতিকারের বিষয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন এবং করনীয় নিয়ে আলোকপাত করেন। বক্তারা বলেন ধুমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কোন উপকারিতা আজ পর্যন্ত আবিস্কার করতে না পারলেও সিগারেট কোম্পানী গুলি নানা উপায়ে বিজ্ঞাপন, উপটোকন ও প্রণোদনা দিয়ে তরুনদেরকে বিড়ি সিগারেট এ আসক্ত করছে। যার সর্বশেষ পরিনতি হচ্ছে একটি সম্ভাবনাময় জীবনের পরিসমাপ্তি। বিষয়গুলো জানার পরও মানুষ তামাকে আসক্ত হচ্ছে। নিজে ধুমপায়ী না হলেও পরিবারের অন্য ধুমপায়ীর পরোক্ষ ধুমপানের কারনে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক এখন মহামারী আকারে দাঁিড়য়েছে। তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণে ধুমপান বিরোধী আইনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই ধারা বিধান লংঘন করলে অনুর্ধ ৩ মাস কারাদন্ড বা অনধিক ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবার বিধান থাকলেও আইন প্রয়োগের ঘটনা তেমন একটা দেখা যায় না। ফলে নগরজুড়ে ধুমপানের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা এমনকি প্রশাসন, আদালত, হাসপাতাল, ক্লিনিক, হোটেল-রেস্তোরায় প্রবেশ পথে ও মুদি দোকান, নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও ধুমপানের বিজ্ঞাপন ও বিক্রি মুক্ত নয়। তাই তামকমুক্ত, ক্লিন ও গ্রীন সিটি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সমাজ পরিবর্তনকামি মানুষগুলির প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply