২০ এপ্রিল ২০২৪ / ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ২:৪৬/ শনিবার
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় আইন মানছে না ওরা, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নিরহ আবদুল মোতালেবের জিডি

     

আনোয়ারা প্রতিনিধি

বাপ দাদার জমি পাবার আশায় মামলা করেছেন আবদুল মোতালেব আদালতে।এই মামলার পর থেকে তার জান মাল অনিপরাধ হয়ে উঠে।  জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নিরহ আবদুল মোতালেব জিডিও করেছেন থানায় ।মামলা ও জিডিই ‘কাল’ হলো তার, নিজ ঘর ছাড়া হলেন বাদী।ঘটনাটি আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পরুয়া গ্রামের।আবদুল মোতালেব স্হানীয় দক্ষিণ পরুয়া গ্রামের মৃত কাইয়ুম উদ্দিন প্রকাশ কামাল উদ্দিনের ছেলে।

সুত্রমতে, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পরুয়া গ্রামের মৃত ফকির আহমদ ৩ ছেলে রেখে মারা যান।এই ছেলেরা হলেন তোফর আলী, ছদর আলী ও বশরত আলী।এই ৩ ছেলের মধ্যে তোফর আলীর ২ পুত্র ও ২ মেয়ে, ছদর আলীর ২পুত্র ৪ মেয়ে, এবং বশরত আলীর ৩ পুত্র ও ২ মেয়ে রয়েছে।মৃত ফকির আহমদের ছেলে মেয়ে ও নাতি নাতনির সংখ্যা একাধিক।কালের ধারাবাহিকতায় নাতি নাতনিদেরও জন্ম হয়েছে ছেলে মেয়ে।একই গোষ্টিভুক্ত হলেও ধনেজনে তোফর আলীর ওয়ারিশদার কম।অন্যদিকে ছদর আলী ও বশরত আলীর ওয়ারিশদার বেশী, ধনে জনে বলিয়ান ও স্হানীয়ভাবে প্রভাবশালী।মৃত ফকির আহমদ এর রেখে যাওয়া সম্পতি আইন মোতাবেক সকল ওয়ারিগণ পাবে এটাই নিয়ম। একই সুত্রের আলোকে জমি ভোগ দখল, জবর দখল ও আইন অমান্য ঘটনায় এক ভয়াবহ অবস্হা বিরাজ করছে এই গ্রামে একই গোষ্টির আদু মাঝি বাড়ির লোকজনের মধ্যে।

গত ৮ নভেম্বর উল্লেখিত লোকজনের মধ্যে রাস্তার জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও নারীসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনকে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা হলেন মুহাম্মদ আরমান (২৩), রেহানা বেগম (৪২),  দিল মাহামুদ (২৫)  ছলিমা খাতুন (৪০) ও মেনু আকতার (১৭)।
এই ব্যাপারে গত ১০/০৮/২০১৮ আনোয়ারা থানার অভিযোগ নম্বর ১৫৯৫/১৮ অভিযোগ দায়ের করা হয়। হামলা কারীদের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় একটা সাধারণ ডায়েরিও (অভিযোগ নম্বর ২৬৯০)  করা হয়। এই গ্রামের মৃত আবুল কাশমের পুত্র সেলিম, জাহাঙ্গীর আলম এবং নঈম সহ ১৪ জন মিলে আহতদের উপর হামলা চালায়।

বর্তমানে আবদুল মোতালেব গং এবং আবদুল জলিল গং দের মধ্যে  চলছে বিরোধ ।আদালতের নিষেধাক্ষা, স্হিতিবস্হা উপেক্ষা করে আদালতের আইন অমান্য করে চলছে আবদুল জলিল গং।জোর করে আবদুল মোতালেবেের দখলে থাকা জমিতে চলতি মৌসুমে ধান রোপন  করার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারা।যা মামলার আদেশের সম্পূর্ণ বরখেলাপ করেছে।মামলা নং ১০২৮ তারিখ ০৯/০৫/ ১৯।  আদেশ নং ৮৩ তারিখ ২৮/ ১১/১৮ কে অমান্য করেছে জলিল গং।স্হানীয় লোকজনও তাদের ডরে ভয়ে মুখ খুলেনা।

চিরকুমার আবদুল জলিল (৬০) একজন তাবলিক জামাতের লোক ও আবদুল মোতালেব একজন সাগরে মাছ ধরার লোক হিসেবে স্হানীয়ভাবে পরিচিত । আবদুল জলিল  ও আবদুল ছাত্তারের লোকজনের ভয়ে নিজ বশতঘরে যেতে পারছে আবদুল মোতালেব।আবদুল জলিল  ও আবদুল ছাত্তার স্হানীয় বাদশা মিয়ার পুত্র ।আবদুল জলিল কোথাও কোথাও আবদুল গণি নামেও পরিচয় দেয়।স্হানীয় মানুষের মুখে আবদুল জলিলের নামে এন্তার অভিযোগও আছে।জামাতের বহু পদস্ত মানুষের নামও বিক্রি করে ঘাটে ঘাটে। বাপ দাদার সম্পতির পাবার আশায় আবদুল মোতালেব এখন নিজ বশতঘরেও যেতে পারছে না।বুঝতেইও পারছেন না, আইন না মানলে কীভাবে  কী  করবেন তিনি ? কোথায় গেলে, কে দেবে নিরাপত্তা ?

 

 

 

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply