২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:১১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ১:১১ অপরাহ্ণ

আধুনিক পাঠাগার, অডিটরিয়াম, সুস্থ আবাসন ও বহিরাগতমুক্তকরণের দাবি এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদের

     

 

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল সংসদের উদ্বেগে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি তুলে ধরেন হলের শিক্ষার্থীরা।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডাকসু স্যার এ এফ রহমান হল সংসদের নেতৃবৃন্দ এবং হল প্রভোস্ট ও গৃহশিক্ষক- কর্মচারিবৃন্দ।

সভায় ডাকসু স্যার এ এফ রহমান হল শাখার জিএস রাহিম সরকার বলেন, আমরা মোট ১৭ টি কার্যক্রম গ্রহণ করেছি যার মধ্যে সাতটি আমরা বাস্তবায়ন করেছি এবং ছয়টি চলমান রয়েছে। আমরা রুম সংকট দূর করার জন্য ২০ টি টিনসেট রুম আগামী অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের খেলার মাঠ নিয়ে যে সমস্যা তা অতি শীগ্রই দূর করার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

সভায় ডাকসু স্যার এ এফ রহমান হল শাখার ভিপি আঃ আলিম বলেন, আমাদের হল দেখতে অনেকটা খাঁচার মত, আমরা এ সম্পর্কে বার বার বলার পরও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা প্রথমদিক থেকেই একটি অডিটরিয়ামের কথা বলে আসছি কিন্তু আমরা প্রশাসনের কাছথেকে তা আদায় করতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে ছাড়বো, আধিকার নিয়ে টালবাহানা করলে শিক্ষার্থীরা দেখিয়ে দিবে কিভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।

স্যার এ এফ রহমান হলের প্রোভোস্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, হল সংসদগুলো তৈরী করা হয়েছিল ছাত্র নেতৃত্ব তৈরী করার জন্য। ছাত্ররা তাদের অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিবে। তিনি হলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেন রুমের অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিয়ে রুম গুলোতে সুন্দর একটা পরিবেশ গড়ে তুলেন।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো তাদের উন্নত সংস্কৃতির বলে এত উন্নত হয়েছে। কোনো দেশের সংস্কৃতি যদি উন্নত না হয় তাহলে সে দেশ উন্নত হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী – শিক্ষকরা যতক্ষণ পর্যন্ত এদেশের সংস্কৃতিকে উন্নত করার চেষ্টা করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশের সংস্কৃতি উন্নত হবে না।

মতবিনিময় সভায় ডাকসু স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য সম্পাদক তালাস ইমরান বলেন, এ ধরনের প্রোগ্রাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ টি হলের মধ্যে স্যার এ এফ রহমান হলে প্রথম। আমরা কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি যার মধ্যে কিছু চলমান, কিছু দৃশ্যমান।

ডাকসু স্যার এ এফ রহমান হল সংসদের সদস্য ইমদাদুল হক চঞ্চল বলেন, আমরা ইশতেহারকে বিশ্বাস করি না বাস্তবায়ন কে বিশ্বাস করি। শুধু ইশতেহার দিয়ে বসে থাকলে হবে না তা বাস্তবায়ন করতে হবে। হলের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় করে নিবে।

মতবিনিময়কালে রবিউল ইসলাম নামে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের জবাবে হল প্রভোস্ট বলেন, আমরা ঈদের পরপরই পেপার রুম এবং রিডিং রুমকে আলাদা করে দিবো। আমরা আমাদের মাঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ২০০ ট্রেক মাঠি দেওয়ার ব্যাবস্থা করেছি। তারপর আমরা সেখানে সাইকেল রাখার জায়গা এবং ২০ টি রুম তৈরি করবো।

ফাহিম রেজা শোভন নামে অপর এক শিক্ষার্থী হলের বেশ কিছু সমস্যা তুলে ধরেন।
তার জবাবে হলের প্রভোস্ট স্যার বলেন, আমরা সবসময় গনরুমের বিরুদ্ধে অবস্থান করি। যে কয়েকজন ছাত্র একটি রুমে থাকতে পারে ঠিক সেই কয়েকজন ছাত্রই একটি রুমে থাকবে। কারণ এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যা ংকিং এর সাথে সম্পর্কিত। অবৈধ ছাত্রদের বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধ ছাত্রদের হলথেকে বের করে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়াও ফাহিম রেজা শোভন হলের নিম্ন গতির ইন্টারনেট সম্পর্কে বলেন।

স্যার এ এফ রহমান হলের শাহনেওয়াজ ভবন নামে অপর একটি ভবনের শিক্ষার্থী এর কিছু সমস্যা যেমন, নামাজ ঘর নেই, রিডিং রুম নেই, টিভি নেই, ঢাকা কলেজের অবৈধ শিক্ষার্থী, গনরুমের আধিক্য ইত্যাদি তুলে ধরেন। এ সম্পর্কে ডাকসুর হল সংসদের ভিপি আঃ আলিম বলেন, আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, আমরা হল সংসদ আপনাদের পাশে আছি।

ছাত্রদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে ডাকসু হল শাখার জিএস বলেন, ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা হলে আছে আমরা তাদেরতে বের করে দিবো যে কোন প্রকারে। আমরা প্রত্যেক রুমে আটজন নিশ্চিত করবো।

স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট স্যার বলেন, আমরা একটি সুন্দর হল উপহার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। হল সংসদ তৈরি হয়ে আমাদের এ কাজ করা এখন সহজ হয়েছে।

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply