১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:৩৬/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বিত্তবান হওয়ার সুযোগ পেয়েও ইসহাক মিয়া বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের অমর্যাদা করেননি : ড. ইফতেখার

     

সুযোগের দেখা না মিলায় অনেকেই নীতি আর্দশের ধারক মনে করে, কিন্তু সুযোগ পেলে আঁখের ঘুছিয়ে নিতে একটুও দেরি করে না এমন মানুষ সমাজে যেমনি বসবাস করে তেমনি আবার সুযোগ পেয়ে ন্যায়, নীতি, বিশ্বাসে অটুট থেকে ভোগ-বিলাস পরিহার করে সমাজ-দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখার মানুষও এ সমাজে বসবাস করে। জননেতা ইসহাক মিয়া তাঁদেরই একজন। ভাষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করা এই মানুষটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে গণ-পরিষদ সদস্য ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় এবং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানও নিযুক্ত করে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ইসহাক মিয়ার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ‘জনগণের নেতা ইসহাক মিয়া’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়।

২৪ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় লালদিঘীর পাড়স্থ সোনালী হলে সংগঠনের সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরী এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এই আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক ও সাধু ভাষার মিশ্রণে সবার প্রিয় ইসহাক দা’র রস মিশ্রিত বক্তব্য উজ্জ্বীবিত করত নেতাকর্মীদের। বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সময় হরতাল-অবরোধে মুজিব কোর্ট গায়ে দিয়ে চোখে সান গ্লাস লাগিয়ে সামনের সারিতে থাকতেন সবার প্রিয় ইসহাক দা। দল ক্ষমতায় আসার পরও সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এবং বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে গঠিত নাগরিক কমিটির আহ্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, নিরহংকার, নির্লোভ, মুজিব আদর্শের মূর্ত প্রতীক অন্যায়ের প্রতিবাদী, সাহসী, সাদাসিধে মানুষ ছিলেন ইসহাক মিয়া । বন্দরের চেয়ারম্যানের মতো লোভনীয় পদে থেকেও অন্যায় দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের অমর্যাদা করেন নি। অন্যন্যা অবদান রেখে যাওয়া আলোকিত জননেতা ইসহাক মিয়ার স্মৃতি রক্ষায় চট্টগ্রাম শহরের কোন বিদ্যালয়, সড়ক বা সরকারি স্থাপনা তাঁর নামে নামকরণ করার জন্য তিনি সরকারের নিকট দাবি করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমেদ, উপাধ্যক্ষ ডা. চন্দন দত্ত, ডা. রতন চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. ছালাম, অজিত কুমার শীল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, প্রদীপ খাস্তগীর, সাংবাদিক এম. আলী হোসেন, লায়ন আলহাজ্ব সি.এস.কে সিদ্দিকী, মাওলানা মোস্তাফা কামাল, ডা. এ.কে.এম. ফজলুল হক সিদ্দিকী, মো. বিল্লাল হোসেন, অধ্যাপক মিল্টন কুমার নাথ, কে. এইচ. এম. তারেক, ইয়াছিন আরাফাত, মো. শাহীন, সংগঠক সজল দাশ, আসিফ ইকবাল, আব্দুল হালিম, মো. সাব্বিব, নুরুল আলম, আব্দুল মান্নান, দুলাল মল্লিক, আফছারুল কাদের চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র জননেতা ইসহাক মিয়া প্রজন্মের কাছে অনুসরনীয় হয়ে থাকবে। সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হাফেজ মো. ইব্রাহিম।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply