২৩ এপ্রিল ২০২৪ / ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৪৯/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ২৩, ২০২৪ ৬:৪৯ অপরাহ্ণ

আনোয়ারায় গার্মেন্টস কর্মী গণধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্তের লাশ উদ্ধার : মৃত্যু রহস্য অজ্ঞাত

     

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারায় আলোচিত গার্মেন্টস কর্মী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আব্দুন নুর (২৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার ৭ জুলাই ভোরে উপজেলার কালাবিবি দিঘির পাশে চায়না ইকোনমিক জোন সড়ক সংলগ্ন পাহাড়ের ঢালে তার লাশ উদ্ধার করে।

লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আনোয়ারা থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ। তিনি জানান, নিহত আব্দুন নুর আনোয়ারায় গার্মেন্টস কর্মী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি এবং সে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুত্রে জানা যায়, গতকাল ৬ জুলাই রাতে চায়না ইকোনমিক জোন সড়ক সংলগ্ন এলাকায় গুলাগুলির শব্দ শুনা গেলে এলাকার স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে, ভোরে ওই এলাকায় পুলিশ গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবদুন নুরের লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থলে ১টি এলজি, চোরা ৩টি ও কার্তুজ ৪টি উদ্ধার করা হয় যার মধ্যে ২টি ব্যবহৃত।তবে কিভাবে সে মারা গেল, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি ।

স্থানীয় ও গ্রাম পুলিশ সনাক্ত করেন তিনি বৈরাগ ইউনিয়নের মৃত আবদুন সাত্তারের ছেলে মোঃ আব্দুন নুর। সে গত ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে এক গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি। এর আগেও আব্দুন নুরের নামে আনোয়ারা থানায় ৩টি ছিনতাই ও ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।এদিকে তার মৃত্যুর খবরে আনোয়ারার সচেতনমহল স্বস্হি প্রকাশ করছে।

প্রসংগত সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মেয়েটি পাঁচমাস ধরে একটি জুতার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

গত শুক্রবার রাতে চাতরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৪ অভিযুক্তের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার আনোয়ারা হোসেনের পুত্র সিএনজি চালক মো মামুন (১৮) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ছনহরা গ্রামের আবদুল গফুরের পুত্র হেলাল উদ্দীন (২৮)। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীকে দু’জনই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে আবদুন নুরের নাম জানায়। আবদুন নুরের সাথে তার আরেক বন্ধু মোহাম্মদ শহীদও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে তারা তথ্য দেয়।শহীদ এখনো পলাতক রয়েছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply