১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ১০:১২/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১০:১২ অপরাহ্ণ

ডাচ-বাংলা’র এটিএম হ্যাকে জড়িত রাশিয়ার ‘সাইলেন্স’

     

গত মে মাসে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের‘সিস্টেম হ্যাক’ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পেছনে ‘সাইলেন্স’ নামে রাশিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ জড়িত। মস্কোভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান  গ্রুপ-আইবি’র বরাত দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম জেডনেট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।৩১ মে রাতে রাজধানীর বাড্ডায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ থেকে তিন লাখ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। অথচ ব্যাংকের মূল সার্ভারে ওই লেনদেনের কোনো রেকর্ড হয় নি। এমনকি কোনো গ্রাহকের হিসাব থেকেও টাকা কমেনি। ওই ঘটনার পরদিনই খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের আরেকটি বুথ থেকে টাকা তোলার সময় এক বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পান্থপথের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও পাঁচ বিদেশিকে। এরা সবাই ইউক্রেনের নাগরিক।

‘সাইলেন্স’ হ্যাকার গ্রুপটি কেবল বাংলাদেশ নয়, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও কিরগিজস্তানের ব্যাংকেও হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে গ্রুপ-আইবি। তবে চার দেশের মধ্যে সর্বশেষ গত মে মাসে বাংলাদেশের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের‘সিস্টেম হ্যাক’করার বিষয়টি প্রকাশ করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানটি। অন্য তিনটি দেশের কোন ব্যাংকগুলোতে ‘সাইলেন্স’ হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায় নি তারা।এর আগে ২০১৬ সাল থেকে হ্যাকারদের এই গ্রুপটি রাশিয়া, প্রাক্তন সোভিয়েতভুক্ত দেশগুলো এবং পশ্চিম ইউরোপের ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলা চালিয়েছিল। ২০১৭ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ নেটওয়ার্কে হ্যাক করে এক রাতেই এক লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেছিল গ্রুপটি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার এবং মার্চে দ্বিতীয় একটি ব্যংকের এটিএম বুথ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার চুরির সঙ্গে এই গ্রুপটির সংশ্লিষ্টতা আছে। গ্রুপ-আইবি’র মতে এবারই প্রথম এশিয়ার দেশগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ‘সাইলেন্স’। গ্রুপ-আইবি’র ডায়নামিক অ্যানালাইসিস অব ম্যালিসিয়াস কোড বিভাগের প্রধান রুস্তম মিরকাজিমভ জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ হ্যাকের পেছনে ‘সাইলেন্সে’র সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ধরতে পেরেছে গ্রুপ-আইবি।তিনি বলেন, ‘এ ধরণের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীদের অবকাঠামো এবং সাইবার অপরাধী গ্রুপগুলোর অর্থপ্রভাবিত অন্যান্য কার্যক্রম চিহ্নিত করার ক্ষমতা গ্রুপ-আইবি’র আছে। এর মাধ্যমে সুনিশ্চিতভাবে আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে ব্যাংকের নেটওয়ার্কের থাকা আক্রান্ত মেশিনটিতে সাইলেন্সের পরিকাঠামোর সংযোগ হয়েছিল। এক্ষেত্রে আমরা খোঁজ পেয়েছি, অন্ততপক্ষে গত ফেব্রুয়ারি থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের আইপি’র সঙ্গে ‘সাইলেন্স’ যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিল।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply