১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:০৪/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৭:০৪ অপরাহ্ণ

সাবেক মন্ত্রী নোমানের মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশ

     

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মৎস ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের অর্জিত সম্পদের তথ্য না দেয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদক দমন ব্যুরোর করা মামলা তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৬ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. শাহজাহান, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, চলতি মাসের ১৯ জুন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে ১৬১ ধারার জবানবন্দি চেয়ে ও চারজন সাক্ষীকে রি-কলের আবেদন করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার সাক্ষীদের জবানবন্দি পাননি বলে মামলায় সঠিকভাবে জেরার কার্যক্রম করতে পারেননি। ওই আবেদন তা নামঞ্জুর করে আগামী ৩০ জুন রায়ের জন্য নির্ধারণ করেন বিচারিক আদালত।

সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন এবং মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত চান আবদুল্লাহ আল নোমান। পরে হাইকোর্ট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে তার আবেদনকৃত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারার জবানবন্দি আদালতে জমা দিতে এবং চারজন সাক্ষীকে পুনরায় জেরার অনুমতি দেন এবং মামলার তারিখ অহেতুক সময় ক্ষেপণ না করে তিন মাসের মধ্যে রায় দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানকে নোটিশ দেয় বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো। নোটিস পাওয়ার পর আইনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি তিনি সময় বাড়ানোর আবেদনও করেননি। পরে ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট নোমানের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ।

মামলায় ২০০৯ সালে নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে তা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নোমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেন।

এর বিরুদ্ধে নোমান আবেদন করলে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় লিভ টু আপিল করেন নোমান। সেটিও ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন সাতজন।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply