অধ্যক্ষ ডাক্তার আবদুল করিম ও সোলায়মান আলম শেঠ দুইজনকে নিয়ে সম্প্রতি সংবাদপত্রে রিপোর্ট হয়েছে। দুইজনে এক সময়ে একই বৈটক কিংবা সভায় ঐক্যমত পোষন করে সিন্ধান্ত নিলেও এখন চলছে বিরোধ ।চলছে চরিত্র খননসহ নানান আপত্তিকর কথা বার্তা। চটগ্রাম জুড়েই দুইজনের আলাদা ব্যাক্তিত্ব ও পরিচিতি রয়েছে।সোলায়মান আলম শেঠ রাজনৈতিক ব্যানারে সুপরিচিত মূখ অন্যজন অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম চিকিৎসা, সমাজসেবা ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে চট্টগ্রাম জুড়ে সমধিক পরিচিত।
সুত্রমতে, চকবাজারের পেরেণ্টস স্কুল এণ্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করায় কতিপয় মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম এবং তাঁর অনুসারীদের উপর ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। গত ২০ মার্চ ২০১৯ সালে ওই স্কুলের সভায় সোলায়মান আলম শেঠ ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালায় ও অশোভন আচরণ করেন। হামলা ও অশোভন আচরণের কারণে চশিক ফাউন্ডেশনের এক জরুরী সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকেঁ বহিস্কার করা হয়।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, স্কুলের নামে ক্রয়কৃত চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার একটি জমি আত্মসাৎ করার মানসে এ ধরনের ঘৃনিত অপকর্ম করে সে ।গর্হিত এই কর্মকান্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের চিকিৎসক সমাজ, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষগণ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে এখনোও। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও সুশীল সমাজ, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধী ওই ব্যাক্তিকে আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবিও করেছে।এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বিভিন্ন থানায় ও আদালতে তার বিরুদ্ধে ভুমি দস্যু এবং ফৌজদারী অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগকারীরা প্রতিকারের অপেক্ষায় প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে।অভিযোগ কারীদের মধ্যে বিধবা ও অসহায় নারীও রয়েছে।
অন্য একটি সুত্রমতে, অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিমকে নিয়ম- শৃংখলার মধ্যে ঘায়েল করতে না পেরে সোলায়মান আলম শেঠ তাঁকে ঘিরে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করছে। বিষয়টি চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ সহ প্রশাসনের লোকজনও আমলে নিয়েছে।এই বিষয়ে জানার জন্য সোলায়মান আলম শেঠের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও দেশের বাইরে থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি।এখন চট্টগ্রামের সচেতন মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগছে, অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম কী ষড়যন্ত্রের শিকার? চলমান ঘটনার জন্য দায়ী সোলায়মান আলম শেঠ কী আইনের আওতায় আসবে না?
