২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:২০/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৭:২০ অপরাহ্ণ

শ্রীপুরে তেলীহাটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কক্ষে মাদকের আস্তানা!

     

 

এস এম জহিরুল ইসলাম

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়ন।এ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি টেংরা গ্রামে অবস্থিত। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পুরাতন পরিত্যক্ত কক্ষগুলো এখন বিভিন্ন অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

এক যুগের বেশি সময় ধরে বন্ধ-পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুরাতন কক্ষগুলো এখন মাদক সেবন, জুয়া খেলা ও অসামাজিক কার্যকলাপের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অপরাধীদের আনাগোনা থাকে এখানে। বিভিন্ন সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

গোপন সূত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ একটি দলের নেতৃত্বে মাদক কেনাবেচা ও সেবনের আড্ডা জমে। উপজেলার টেংরা গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে আরাফাত হোসেন (২৫), একই এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে মাসুম (২৫), জাহিদুল (২৬), জসিম উদ্দিনের ছেলে আরিফ মিয়া (২৭), শ্রীপুর পৌর এলাকার উজিলাব গ্রামের সালাউদ্দিন সালা’র ছেলে সাখাওয়াত হোসেন নাঈম (২১)।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঠিক পাশেই স্বনামধন্য দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব নওয়াব আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও মাদকের সাথে ধীরে ধীরে জড়িয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। বিদ্যালয়ের মধ্যাহ্ন বিরতির সময় স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরিত্যক্ত কক্ষগুলোতে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।

তেলিহাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিস্তৃত আয়তনের পাঁচটি পরিত্যক্ত কক্ষে অপরাধীরা গড়ে তোলে তাদের নিরাপদ আস্তানা। সেখানে দিনে রাতে চলছে মাদক সেবন ও বিক্রি। একই সাথে চলছে তাসখেলা । পাশাপাশি নারী যৌনকর্মীরা খদ্দেরকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায় সেখানে। ওখানে যৌন কর্মীদের সাথে যোগসাজশে উৎপেতে থাকা অপরাধী চক্র খদ্দেরকে মারধর করে পুুলিশের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, মোবাইলসেটসহ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। রাতভরও সেখানে চলে দেহ ব্যবসা। শুধু তাই নয়, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কিশোর-যুবকরা যাতায়াত করে। এখন চেনা-অচেনা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

তবে এই গ্রাম কে নিয়ে এখনো অনেক স্বপ্ন আঁকেন এলাকার স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও প্রাণবন্ত মহৎ ও সচেতন মহলের ব্যাক্তিত্বরা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, একাধিকবার এইসব তালিকাভুক্ত মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। তবুও তারা থেমে নেই, রাত হলেই বেপরোয়া হয়ে যায়, সারারাত চলে মাদক সেবন ও বেচাকেনার ধুম।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই এসব তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কে আইনের আওতায় আনা হবে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি সদ্য যোগদান করেছি, খুব শীঘ্রই শ্রীপুর মাদক মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply