পবিত্র কালামে পাক বক্ষে ধারণ আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত ব্যতিত সম্ভব নয়
আজ ১৫ মে ২০১৭ তারিখ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সনদ ও পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে সকাল ০৯.০০টায় হিফজ প্রতিযোগিতা এবং বিকাল ২.০০ টায় আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় মিলনায়তনে পরিচালক আবুল হায়াত মুহাম্মদ তারেক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্যানেল মেয়র-১ আলহাজ্ব চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। তিনি বলেন-‘‘হেফজ করা আল্লাহ পাকের একটি অপার রহমত ও কুরআনের একটি বিশেষ মোজেজা স্বরুপ’’। মুসলমানরা শ্রেষ্ঠ জাতি যারা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মে অন্যায় ভাবে কারো হত্যা বা জুলুম করার কথা বলেনি। তিনি ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি কারীদের থেকে সাবধান থাকার জন্য সকল মুসলমানদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন-জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পূর্বের গতানুগতিক কর্মসূচিকে আরো সমৃদ্ধ ও জনসমাদৃত করার প্রয়াসে বর্তমান মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা চালু করেন-এর আগে হিফজ প্রতিযোগিতা ছিল না। তিনি কুরআন হেফ্য করার পাশাপাশি এর অর্থ ও আদেশ-নিষেধ নিজ জীবনে বাস্তবায়িত করতে আহবান জানান এবং বিভাগীয় পর্যায়ে হেফয প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করে বিজয় লাভ করতে পারেনি তাদের আরও ভালভাবে অনুশিলন এবং বিজয়ীদেরকে পরবর্তী জাতীয় পর্যায় প্রতিযোগিতার জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুতির উপর জোর তাকিদ প্রদান করেন। ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ জয়নাল আবেদিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক জনাবা ফাহমিদা বেগম, বান্দরবান জেলার উপ-পরিচালক জনাব মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি মাওলানা মোঃ ইউনুচ ফরায়েজি। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি হিফজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদেরকে সনদ ও পুরষ্কার প্রদান করেন। পরিশেষে দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা ও বঙ্গবন্ধু সহ অন্যান্য শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন ফিল্ড সুপারভাইজার হাফেজ মাওলানা মোঃ গোলাম কিবরিয়া।