সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
পাহাড়ি জনপদ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত এলাকা রাজনগরে লংগদু গুলশাখালি পুলিশ ফাঁড়ি ময়দানে রাজনগর নাগরিক ফোরাম ও গুলশাখালি পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল বাঙালির বাঁধভাঙ্গা বৈশাখী উৎসব। ২ দিন ব্যাপী বৈশাখী উৎসবের কর্মসূচীতে ছিল- পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রীতি র্যালী, “ভালোবাসা গড়তে হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ” শীর্ষক উদ্বোধনী আলোচনা সভা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, নাট্য প্রদর্শনী, বাঙালির হাজার বছরের লোকজ মেলা প্রভৃতি। কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন- গুলশাখালি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সাব্বির রহমান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন- খ্যাতিমান ভাস্কর ডি.কে. দাশ (মামুন)। সম্মানিত অতিথিবৃন্দের মাঝে ছিলেন- অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু, নারী নেত্রী সাবিকুন্নাহার শিউলী, আওয়ামী-যুবলীগ নেতা গোলাম মওলা, আমতলা ইউ,পি, চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী, এম.ডি.এইচ রাজু, সমাজসেবক আবু তালেব, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ কাজী, সমাজসেবী গিয়াস উদ্দিন কার্বারী, সমাজ সেবক সোহেল আহমেদ, সমাজসেবক মঙ্গল কার্বারী, নয়ন আলি মেম্বার ও প্রধান শিক্ষক ইসহাক মিয়া প্রমুখ।
কর্মসূচীর আলোচনা পর্বের প্রধান অতিথির ভাষণে ভাষ্কর ডি.কে. দাশ (মামুন) বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে সম্প্রীতির আদর্শ হিসেবে সুপরিচিত। এদেশের পাহাড় সমতলে নানা বর্ণের, নানা ধর্মের, নানা গোত্রের মানুষ বহুকাল ধরে আপন আপন সংস্কৃতি, কৃষ্টি লালন পালন করে আসছে। বৈশাখী উৎসব বাঙালির সর্বস্তরের মানুষের মিলনের মহোৎসব। ধনী-দরিদ্র ভেদাভেদে পরম আকূতি ও আত্মিক আহ্বানে এই মেলায় সকলে মিলত হন। প্রত্যন্ত জনপদ গুলশাখালীতে প্রথম বারের মত এই বৈশাখী উৎসব মানুষের হৃদয়ে সম্প্রীতির নজির হয়ে থাকবে। সাংবাৎসরিক আয়োজনে প্রতি বছর এখানে আবালবৃদ্ধবণিতার মিলনে অভূতপূর্ব মেলবন্ধন রচনা করবে তারই সূচনা রচিত হল। অনুষ্ঠান মঞ্চে দুই দিনব্যাপী পাহাড়ী বাঙালির শিল্পীরা সংগীত, নৃত্য ও নাট্যানুষ্ঠানে শিল্পীরা যোগদেন। শেষ দিবসের কর্মসূচীতে গুলশাখালী পুলি ফাঁড়ির প্রধান সাব্বির আহমেদ এর রচনা ও নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘দিন বদল’। সাংস্কৃতিক ও নাট্য অনুষ্ঠানে অংশ নেন- পুলিশ সদস্য এরাশাদ হোসেন, খায়রুল আলম, শহিদুল ইসলাম, ক্ষুদে বঙ্গবন্ধু শিহাব, মোসাদ্দেক হোসেন, রেজাউল করিম, শ্যামলী চাকমা, বলরাম চন্দ্র রায়, কায়সার আহমেদ, রেজাউল হক মানিক ও রকি হোসেন। স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ প্রতি বছর এই উৎসব আয়োজনের গুরুত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। সবশেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মাঝে পুরস্কার বিতরণ, গ্রন্থ প্রকাশ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।