২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৬:৫১/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৬:৫১ অপরাহ্ণ

বাঁশখালীতে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

     

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে কেরোসিন দিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশ উত্তাল। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ডাকাতিয়া ঘোনা এলাকার অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে নিয়ে টানা ছয়দিন ঘরে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা চট্টগ্রামের নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তোলপাড় শুরু হয়। অভিযুক্ত ফাহিম উদ্দিন (২২) ডাকাতিয়া ঘোনা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। তার ছোট ভাইয়ের নাম তৌহিন উদ্দিন (১৯)।

জানা যায়, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল স্থানীয় ফাহিম উদ্দিন। ছাত্রী তা প্রত্যাখান করায় ফাহিম ও তার ছোট ভাই তৌহিন মিলে তাকে তুলে নিয়ে নিজের বাড়িতে ছয়দিন ধরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এমনকি ওই ছাত্রীর মায়ের কাছে ফোন করে ফাহিম পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে।

এ ঘটনার পর গত ৫ মে ওই ছাত্রীর মা চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ফাহিম ও তৌহিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ডাকাতিয়া ঘোনা এলাকা বাড়ি থেকে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে পিবিআই। মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ করে বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

পিবিআই পরিদর্শক (চট্টগ্রাম জেলা) আবু জাফর মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘গত ২ মে সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসায় যাবার পথে মেয়েটিকে অটোরিকশায় তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় ফাহিম ও তৌহিন। সেখানে তাদের বাবা-মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় মেয়েটিকে একটি ঘরে আটকে রাখে।

সেখানে প্রতিরাতে পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাতসারে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ফাহিম। পরে গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। তদন্তে জানতে পেরেছি মেয়েটিকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ফাহিমের ছোট ভাইয়ের পাশাপাশি তার মা-বাবাও সহযোগিতা করেছে।’

তিনি বলেন, তদন্তের আদেশের পরই প্রাথমিক খোঁজ নিতে ছাত্রীর মাকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি জানতে পারি। ওই ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত করে ফাহিমের বাড়িতে মেয়েটিকে আটকে রাখার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে অভিযানে যায় পিবিআই।

অভিযানের খবর পেয়ে মেয়েটিকে ফেলে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় ফাহিম ও তৌহিনসহ পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্ত বখাটে ফাহিম ও তৌহিনসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply