২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:৫৯/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ

বন্দরের গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শিব মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

     

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নগরীর বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরে কে বা কারা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আজ রবিবার ভোরে সংগঠিত এ ঘটনার প্রতিবাদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন সকাল সাড়ে ৮ থেকে সকাল সোয়া ৯ টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) বিকাশ সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন বলে, মন্দির ভাঙচুরের বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। কারা ভেঙ্গেছে তা চিহিৃত করা যায়নি। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরে জানাবেন বলে সংবাদ মাধ্যম কে অবগত করেছেন্
ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের চিহিৃত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকশ লোক রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার কারণে নগরীর আগ্রাবাদ থেকে পতেঙ্গা সড়কে অন্তত ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ১০টার দিকে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মন্দিরে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেয়ার পর অবরোধ তুলে নেয় তারা।
গোসাইলডাঙ্গা (বারিক বিল্ডি এর মোড়) এলাকায় অবস্থিত গোসাইলডাঙ্গা সার্বজনীন তপোবন শ্রী গুরু মন্দিরের (শিব মন্দির) পরিচালক দেবজিৎ শীল শিবু জানান ভোরের দিকে কে বা কারা মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে মন্দিরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কে বা কারা মন্দির ভেঙেছে তা তিনি বলতে পারেন নি।তবে এলাকার লোকজন জানান, বাইরের থেকে মন্দিরে ঢুকে কেউ হামলা করেনি। ধারণা করা হচ্ছে মন্দির পরিচালনা বা অন্য কোন বিরোধের জের ধরে এ হামলা ঘটে থাকতে পারে।এছাড়ামন্দিরেরপুরোহিতরন্জিতশীল বলেন,রাত্রে১০টায় মন্দির ছেড়ে যাবার পরে ভোরে এসে দেখি ভিতরে মূর্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দূবৃত্তরা।পারিবারিকে ঐ শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অজিত শীল বলেন,বাইরে এতো সিকিউরিট থাকা শর্তেও কারা হামলা করলো বা কেন হল তা বুঝা কঠিন মনে হচ্ছে। তবে মন্দিরের আশ পাশের লোকজন বেশ জোর দিয়েই বলছেন,এদেরঅভ্যন্তরিন কোন অজনা বিষয়ে এই হামলা বা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ঘটনা ভিন্নখাদে প্রবাহিত করার চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছেন। তবে ঘটানাস্থলে দুপুর থেকেই সিআইডি(ক্রাইম সিক্ন টিম)পুরো বিষয়টি খোজে৭ বের করার চেষ্টা চালাচ্চেন ।বন্দর জোনের এসি (উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার) কামরুল হাসান জানান, ঐ ঘটনায় চিহিৃতদরে গ্রেফতারে আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নিয়েছে। তিনি আরো জানা যে, ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে কারা এ হামলা ঘটিয়েছেতা প্রেসব্রিফিং করে জানাবেন।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিকলে বারিক বিল্ডিং মোড়ে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিল ও মানাববন্ধন করেছে। বিশেষ করে চট্রগ্রাম-১১এর সাংসদ এম.আব্দুল লতিফের পক্ষে শতশত লোকজন মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করতে দেখা গেছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply