২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / দুপুর ১:০০/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১:০০ অপরাহ্ণ

কারাগারে আনোয়ারার এক আসামীর মৃত্যু এলাকায় উত্তেজনা

     

নিজস্ব প্রতিনিধি

আজ আনোয়ারা উপজেলার ২নং বারশত ইউনিয়নের গুন্দ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রহমান (৪৫) কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে রবিবার মারা যায়। মোঃ আব্দুচ ছমদ গং, বদরুজ্জামান গং এবং আব্দুল ছবুর গংদের মাঝে দীর্ঘ ২বছর যাবত জায়গা সম্পত্তির বিরোধ চলে আসছিল। নতুন করে আবার আব্দুচ ছমদ গং এর দুই ছেলে মোঃ জাফর ও মোঃ আব্দুর রহমানের সাথে নতুনভাবে বিরোধ শুরু হয়। গত ১৭ই মার্চ দুপুর ১টায় জাফরের পরিবার আর আব্দুর রহমানের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হলে আব্দুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। হামলার দিন তার বড় ভাই জাফর আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু ঘটনার দিন আহত অবস্থাতে থানাতে আব্দুর রহমান ও তার চাচাত ভাইয়েরা মামলা করতে গিয়ে পুলিশ তাদের মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে মোঃ আনোয়ার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি আর মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৬৪/১৯ আদালত শুনানি শেষে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করার জন্য আনোয়ারা থানাকে নির্দেশ দেন। ৩০ শে মার্চ মামলাটি থানায় রেকর্ড হয় এবং মামলার সাক্ষী হলেন আব্দুর রহমান। এদিকে অপর পক্ষের মোঃ ফারুক বাদী হয়ে করা মামলার ২য় আসামী ছিলেন আব্দুর রহমান। গত ২৩ শে মার্চ আব্দুর রহমান আদালতে আত্মসমার্পণ করতে গেলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কারাগারে থাকা অবস্থাতে গত ৫ মে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬মে দুপুর ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থাতে তার মৃত্যু হয়। গতকাল ময়না তদন্ত শেষে পুলিশে লাশ তার পরিবারেরর কাছে হস্তান্তর করেন। বিকেল বেলা ৫টায় ২নং বারশত ইউনিয়নের গুন্দ্বীপ গ্রামে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। গতকাল অপর পক্ষের তার বড় ভাই জাফর গং জানাযায় অংশগ্রহণ করতে গেলে সেখানে গন্ডগোল সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে গুন্দ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দীন জানান, দীর্ঘদিন যাবত আব্দুচ ছমদ গং ও বদরুজ্জামান গং এবং আব্দুল ছবুর গংদের মাঝে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিগত ৬/৬/১৭ ইংরেজিতে আনোয়ার ও ইসহাক সহ ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিকে ২নং বারশত ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকার বিচারকগণ মিলে দপে দপে সালিশি বৈঠক হলেও কোন আপোষে আসার সম্ভব হয়নি এবং একটি রোয়েদাদ (২০১১ সালের সালিশি আইনের মর্ম মতে)ষ্ট্যাম্প হয় যেখানে পরিপূর্ণ জায়গা জমি ভাগ বন্টনের হিসাব উল্লেখ করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply