সুবীর নন্দীকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হবে ২৯ এপ্রিল
বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। এই শিল্পীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২৯ এপ্রিল বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
২৮ এপ্রিল, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সুবীর দাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
সুবীর নন্দীর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল।
তিনি বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। মস্তিষ্কের অবস্থা ভালো না। ফুসফুসের প্রদাহ নিয়ে ঝুঁকি এখনো রয়েই গেছে।
সুবীর নন্দী ১৪ এপ্রিল রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আনার পর তার মারাত্মক কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. তৌফিক এলাহীর তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন।
সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। তার হার্টে বাইপাস অপারেশন হয়েছে। কিডনির সমস্যা আছে।
৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন সুবীর নন্দী। স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম। তিনি সিলেট বেতারে প্রথম গান করেন ১৯৬৭ সালে। এরপর ঢাকা রেডিওতে সুযোগ পান ১৯৭০ সালে। রেডিওতে তার প্রথম গান ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’।
বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন সুবীর নন্দী। ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায় আজিজুর রহমানের ছবি ‘অশিক্ষিত’। এ সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিন আর সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।