২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সকাল ৬:৫৪/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

শঙ্কামুক্ত এটিএম শামসুজ্জামান

হাসপাতালে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে এটিএম শামসুজ্জামান

     

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বরেণ্য অভিনয় শিল্পী এটিএম শামসুজ্জামান। গত শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। শনিবার দুপুরে তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন এ অভিনেতার ছোট ভাই সালেহ জামান।শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সালেহ জামান বলেন, ‘আমার ভাইয়ের অপারেশন (অস্ত্রোপচার) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাকে এখন ডাক্তার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আশা করছি কালকে নাগাদ কেবিনে স্থানান্তর করে দেবেন। শিগগিরই বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন।’

বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত এটিএম শামসুজ্জামান উল্লেখ করে সালেহ জামান বলেন, ‘এখন তো বয়স হয়েছে। নানা রোগই আছে। কিছুদিন ধরে পাকস্থলীতে সমস্যা হচ্ছিল। যার জন্য পায়খানা হচ্ছিল না। এ জন্য হাসপাতালে এনে অপারেশন করতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে অপারেশন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রফেসর ডা. রাকিব উদ্দিন অপারেশন করেছেন। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন পুরান ঢাকার দেবেন্দ্রেনাথ দাস লেনে। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে সিনেমায় পা রাখেন। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন।অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’তে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রের অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply