২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:২৬/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৩:২৬ অপরাহ্ণ

শ্রীপুরে চাঁদা না পেয়ে গভীর রাতে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা

     

 

এস এম জহিরুল ইসলাম
ক্রয় কৃত জমিতে বসতবাড়ি। বসতবাড়ির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় সঙ্ঘবদ্ধ চাঁদাবাজ। চাঁদা দিতে নারাজ জমির মালিক। অবশেষে ভূমি দস্যুরা চাঁদা না পেয়ে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা করে গভীর রাতে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার বনরুপা সিনেমা হলের পিছনে (১৪ এপ্রিল) রবিবার রাত ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
উপজেলার টেপিরবাড়ী গ্রামের হাজী আব্দুল মােতালিব’র ছেলে হাজী কামাল পাশার বাড়ীর মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুর সংঘবদ্ধ দল।

দীর্ঘদিন যাবৎ বসতবাড়ি দখল করার পায়তারা করছিল ভূমিদস্যুরা‌ এ ব্যাপারে পহেলা এপ্রিল ৪জনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হাজী কামাল পাশা।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার মুলাইদ গ্রামের মৃত রবিউল মাস্টারের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫০),বাচ্চু মিয়ার ছেলে নাঈম (৩০), সুমন (৩৫), মৃত মােখলেছের ছেলে লতিফ (৩২)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বসতবাড়ির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণ করার সময় গত ৩১ মার্চ সকাল ৮টার দিকে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা  চাঁদা দাবী করে। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় উল্লেখিত বিবাদীগনসহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা দা, লাঠি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। যাহার তফসিল জেলা- গাজীপুর থানা ও সাব রেজিঃ অফিস শ্রীপুর অধীন ৮নং মুলাইদ মৌজাস্থিত সি,এস খতিয়ান ৫৮ এস,এ খতিয়ান ১৭৮ আর,এস ১৯০নং খতিয়ানে সি.এস ও এস,এ দাগ নং ৩৪০ আর, এস ১৮৯৭১৮৯৮নং দাগে আব্দুল মোতালেব’র ক্রয়কৃত জমির পরিমান ১৬.৭৫ শতাংশ।

হাজী কামাল পাশা বলেন, দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ১৪ এপ্রিল গভীর রাতে আমার বসত বাড়ির মূল ফটকের তালা ভেঙে জমি দখল করার চেষ্টা করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক শ্রীপুর থানা পুলিশকে মুঠোফোনে জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা টিনের বেড়া, সিমেন্টের খুঁটি রেখে পালিয়ে যায়।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জাকির হোসেন মুঠোফোনে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply