২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:০৮/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৮:০৮ অপরাহ্ণ

বনানীর অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৭ স্বজন ও উৎসুক জনতার ভিড়

     

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ও ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী।

নিহতরা হলেন পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২১টি ইউনিট কাজ করছে।

ভবন থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা।

হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল বেলা পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর বনানীর বহুতল এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লাগে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ভেতরে আটকাপড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে।

এর পর বিকেল ৩টার দিকে ভেতরে আটকা পড়াদের ক্রেন দিয়ে এক এক করে আটকাপড়াদের নামাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকাপড়াদের উদ্ধারে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ফায়ার ইউনিট, নৌবাহিনীর ফায়ার ইউনিট ও বিমান বাহিনীর ফায়ার ইউনিট।

আগুনে আটকাপড়াদের ক্রেন দিয়ে ও এয়ার লিফটে করে এক এক উদ্ধার করে নামিয়ে আনা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভবনটি থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক এই ভবনটিতে প্রায় হাজারখানেক লোক বিভিন্ন অফিসে কর্মরত বলে জানা গেছে।

ক্রেন এবং বিমান বাহিনীর এয়ার লিফট দিয়ে আটকেপড়াদের উদ্ধার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আহতদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে রাজধানীর সব হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আটকেপড়াদের খবর নিতে স্বজনরা ভবনটির চারপাশে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে ভেতরে আটকেপড়া স্বজনদের কারও কারও কথা হয়েছে। ভেতর থেকে হাত নাড়িয়ে ও জামা নীচে ফেলে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন অনেকেকে। ভেতরে চিৎকার ও কান্নার রোল পড়েছে। উৎসুক হাজারো মানুষ সেখানে ভিড় করেছে। অনেকেই উদ্ধারকাজেও সাধ্যমত সহায়তা করছেন। তবে ভবনের আশেপাশে এখনও যাওয়া যাচ্ছে না।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply