নাগরিক ফোরাম আয়োজিত জিলা পরিষদ হলে উন্নয়ন সংলাপ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার সমাধানে সরকারি ভাবে বরাদ্ধকৃত সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার যথাযত সদব্যবহার করে দ্রুত সমাধানের লক্ষে নগরীর সকল সংস্থা গুলোর সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য । এই বরাদ্ধের অর্থ ব্যবহার করে তিন বছরের মধ্যে জলাবদ্ধ মুক্ত মহানগরীরআশ্বাস ছিল কিন্তু বরাদ্ধ পাওয়ার এক বছর অতিবাহিত হতে চললেও আশানুরুপ অগ্রগতি তো হয়নি বরং এই বছর নগরিকেরা চরম দুর্ভোগের হবেন সম্মুখীন এই বর্ষাকালে ।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা আর যানজট নিরসন পরিবেশ রক্ষা কালুরঘাট সেতুর
জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ আর চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংলাপ ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্ত্বে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে গত ২৪মার্চ অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের রিভাইসড মাস্টারপ্লানের নগর উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদ ইঞ্জিনিয়র আলী আশরাফ। চট্টগ্রামের চলমান সমস্যার সমাধানের আহ্বানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- যথাক্রমে সাবেক এমপি সাবিহা মুসা, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, হাসিনা জাফর, দিদারুল আলম চৌধুরী, চবি প্রফেসর হোসেন কবির, চিকিৎসক ডা: নাহিদা খান শিমু, জাকির হোসেন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সিদ্দিকুল ইসলাম, ওয়াসার সুপেরিনটেনডেনট ইঞ্জিনিয়ার আরিফুলইসলাম, আকরাম হোসেন, সালামত উল্লাহ, রেশমা আনোয়ার, শিক্ষাবিদ ফাতেমা জেবুন্নসা, ডা: খসরুল আলম সিদ্দিকি, লাইলা ইব্রাহিম বানু, নোমান উল্লাহ বাহার, লায়ন সানা উল্লাহ, অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী, কানিস ফাতেমা, ড: শাহ আলম, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকএলাকা বাসিদের পক্ষে রওশন আরা চৌধুরী, ইকরাম উল্লাহ, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, ছাত্রলিগের জিএস মো: ইকবাল হোসেন, হানিফ হোসেন রনি, মো: নাদিম, কবি তসলিম খাঁ ।
সংলাপে সিটি মেয়র এবং সিডিএ চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকার কথা ছিল |চট্টগ্রাম নগরবাসির মরনদশা জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সরকার পর্যাপ্ত পরিমান বাজেট বরাদ্ধ করলেও যথাযথভাবে পরিকল্পিত প্রজেক্ট প্রণয়ন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্মকান্ড চালানো সম্ভব হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে যে সব প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়েছেন ঐসবপ্রতিষ্ঠান জলাবদ্ধতা নিরসনের কথা বলে নগরবাসির সাথে প্রহসন করে যাচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন যানজট সমস্যা চরম আকারে ধারণ করেছে। পরিকল্পিতভাবে যানজট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণে কবলে পড়ে নগরবাসিহিমসিম খাচ্ছে। পরিবেশ দূষণের কারণে দিন দিন সাধারণ মানুষের রোগব্যাধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে নাগরিক ফোরামের ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের প্রেক্ষিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার উদ্যোগ গ্রহণকরেছে। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্ধ চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে তৎ-সময়ের দায়িত্বরত বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের পক্ষ হতে স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জলাবদ্ধতানিরসনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর অনুকুলে পাঁচ হাজার ছয়শত ষোল কোটি টাকা বরাদ্ধ করেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, যথাযথ পরিকল্পনা অভাবে বরাদ্ধকৃত অর্থ ব্যবহার করতে পারেনাই। প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসি বড়ধরণের ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে ।নগরীর নদী এবং সাগরে পরিনত হয়। তার প্রেক্ষিতে চাক্তাই খাতুনগঞ্জসহ ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে থাকেন।
সংলাপে অনেকেই নতুন কালুরঘাট নির্মাণে আর কাল বিনিময় না করার জন্য আহবান জানান।
এছাড়া বক্তারা আরও বলেন নাগরিক ফোরামের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা সরকারের কাছে তুলে ধরার জন্য দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে কারণ চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ে দ্বিতীয় কোনো সংগঠন সম্প্রতি এত কম সময়ের মধ্যে এতটা সোচ্চার হতে পারেনি।
