মুস্তাক মুহাম্মদ এর পদ্মনাভ অধিকারী কবিতাগুচ্ছ- ০৩
এক অমরাবতীর বাসিন্দার গল্প
পদ্মদা জীবন গেলো কারুকাজে বসে,
সাহিত্যর বাতিঘর – তুমি তার বাতি।
বইয়ের প্রুফ লেখা কাটাকাটি
আলোচনায় করলে মাতামাতি।
কেটে গেলো জীবন তোমার
লেখা লেখিকে করে ।
জীবনযাপনে এত সরলতা
শাশ্বতী, কর্ম তোমার করুক অমরাবতী।
তারিখ: ১১/০৫/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
একটা আশা: কামদেবদের রুখা
দাদা, চারদিকে কামদেবরা
ক্ষত বিক্ষত করছে বাংলাদেশকে।
এই ধর্ষিত মাটির আত্নচিৎকার
আর সহ্য করতে পারি না!
কবিতার শব্দরা সব হারায়ে গেছে
লক্ষী ছাড়া হয়েছে ঘরের ছেলে
আশাহতো হয়ে এখন আর
বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না।
তবে একটা চাওয়া কামদেবদের রুখা।
তারিখ:১১/০৫/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপোতা, যশোর।
জীবনের শিক্ষা
পদ্মদা, জীবনের শিক্ষা শিখতে পারেনি বলে
জীবন আমাকে সদা তাড়া করে
কাঠামোর শিক্ষায় কি পেলাম বলো,
বেকারত্বে অভিশাপ গঞ্জনা ছাড়া!
নাঙলের তাড়া ধরে যদি দু’মুঠো
ভাত জোটে কি ক্ষতি ছিলো?
শিক্ষিত হচ্ছি বলে ওসবে আনাড়ি থেকি গেছি
যা আমাকে ভোগাচ্ছে।
তারিখ:১১/০৫/২০১৭, বাঁকড়া পাঁচপেতা, যশোর।
শহর ছেড়ে ভালো আছি
দাদা, শহুরে জৌলসের চেয়ে ভালো আছি
বাংলার আটষট্টি হাজার গ্রামের
কোনো এক গ্রামে, মাটির খুব কাছাকাছি।
মনের সুখে জীবনের গান গাইতে গাইতে
বেশ কেটে যাচ্ছে বেলা,
তবুও আমার সব কিছু হয়ে যায় হেলাফেলা;
সহজ করে নিছি আমার পৃথিবীটা।
শহরে কংক্রিটের মতো শক্ত মনের
সভ্যরা যা করছে -তা কি পাতে তোলা যায়
কোনো মতে?