২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ১১:৩৭/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ১১:৩৭ অপরাহ্ণ

সুন্দরগঞ্জে ঝুঁলে গেছে হরিপুর-চিলমারি সেতুর কার্যক্রম

     

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
২০১৭ সালে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল উপজেলার হরিপুর-চিলমারী সেতু নির্মাণসহ সংযোগ সড়কের কাজ। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণের কাজ এবং ঠিকাদারের জালিয়াতির কারণে সেতু নির্মাণের কাজ ঝুঁলে গেছে। হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে সেতু নিয়ে স্বপ্ন দেখা দুই জেলার মানুষগুলো। ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীসহ সেতু মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেশ কয়েকবার বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। তার পরেও এখন পর্যন্ত জটিলতা কাটেনি। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পুনরায় দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসির স্বপ্নের তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ থেমে গেছে। হরিপুর সেতু সংলগ্ন এলাকা হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্ন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সেতুর সংযোগ সড়কে রুপান্তের কাজ এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর, চিলমারি তিস্তা সেতুর উদ্বোধন করেন ।
কুড়িগ্রামের চিলমারি, রাজীবপুর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর। ১ দশমিক ৪৯০ কিলোমিটার পিছি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করার হবে এই তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয়পাশে^ নদী শাসন করা হবে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পাশে^ সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার। এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার। সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ৯০.৮৪ হেক্টর। এর মধ্যে চিলমারী এলাকায় ২২.৫ হেক্টর এবং গাইবান্ধা এলাকায় ৬৮.৩৪ হেক্টর। ঝুঁলে থাকা সেতু-সড়কের মাটির কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে হরিপুর-সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা নদীতে সড়কের মাটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে লক্ষে মাটি ভরাট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রোলার মেশিন দিয়ে মাটি সমান করছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান- তিস্তা সেতু যাবতীয় কার্যক্রম গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় হতে পরিচালিত হচ্ছে। এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমাদের কার্যলয়ে নেই।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply