২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৩:২১/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৩:২১ পূর্বাহ্ণ

সুরভী-৭ কেড়ে নিলো ৬টি তাজা প্রাণ

     

শরিয়তপুর জেলার সখিপুরে চাচাত বোন খাদিজার বিয়ের অনুষ্ঠানে সপরিবারে যাচ্ছিলেন শাহজালাল। তার পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কামরাঙ্গীচর থেকে নৌকাযোগে রওনা হন তিনি। রাত ৯.৪৫ টায় সদরঘাট র্টামিনালে পৌছান। এ সময় শাহ জালাল (৩৫), তার স্ত্রী শহীদা (২৮), মেয়ে মীম (৮) ও মাহি (৬) ও চাচাতো বোন জামসেদা (২২) ও তার ৩ মাসের শিশু ছেলে জুনায়েদ এবং জামসেদার স্বামী দেলোয়ার হোসেন (৩২) মুহূর্তে এম.ভি সুরভী-৭ লঞ্চের পাখার আঘাতে তাদের নৌকাটি ছিন্নবিছিন্ন হয়ে মুহূর্তেই ডুবে যায়।

সুরভী-৭ লঞ্চের পাখার আঘাতে শাহ জালালের দুই পা বিছিন্ন হয়ে যায়। তিনি পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। ঢাকার কামরাঙ্গির চরে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন। দুর্ঘটনার পর অন্য নৌকার মাঝিরা আহত অবস্থায় শাহ জালালকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটর্ফোড হাসপাতালে ও পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে রাতভর কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল চেষ্টা করেও নিখোঁজ পরিবারের অন্য ছয় সদস্যকে উদ্ধার করতে পারেনি। পঙ্গু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে শাহ জালালের অবস্থা আশংকাজনক।

এদিকে শুক্রবার শাহ জালালের গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরে শখিপুরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার সহোদর বোন আয়শা জানান, শুক্রবার তার চাচা কামাল চৌকদারের ছোট মেয়ে জামসেদার আপন ছোট বোন খাদিজার বিয়ে অনুষ্ঠান চলছে। ঐ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে শরিয়তপুরের সখিপুরে সপরিবারে আসছিলেন শাহজালাল। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যেতে ঐ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এদিকে শুক্রবার দুপুর ১২টায় কোস্টগার্ড, ডুবুরি সদস্যরা বুড়িগঙ্গা নদীর মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনের কাছ থেকে জামসেদার মৃতদেহ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। অপরদিকে সকাল ১১টায় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম (এম.পি) সদরঘাটে লঞ্চ টার্মিনালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘অভিযুক্ত সুরভী-৭ এর বিরুদ্ধে মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিআইডাব্লিউটিএ শুক্রবার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। এরপর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে এবং সন্ধান নিয়ে দেখা যায়, বিআইডাব্লিউটিএর লিস্টে সদরঘাট টার্মিনাল ঘেসে তিনটি খেয়াঘাটের ইজারা দেওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু কেরাণীগঞ্জের তিনটি প্রভাবশালী মহল বারোটি অবৈধ খেয়াঘাট নির্মাণ করে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তিনশটির বেশি নৌকা যাত্রীদের নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী পারাপারে বাধ্য করে থাকে। এতে প্রতিনিয়তই এই বিপদগামী ঘাট থেকে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটৈ। এ ব্যাপারে বিআইডাব্লিউটিএর অসাধু কর্মকর্তারা অবৈধ ৯টি খেয়াঘাটের বিরুদ্ধে কোন আনইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে ঘাট চলাচলকারীদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সবটুকু খবর পড়তে ক্লীক করুন

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply