২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / সন্ধ্যা ৭:৫৩/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

যশোর–কলকাতার ট্রেনে টিকিট বিক্রি শুরু

     

এম ওসমান 

যশোর থেকে ট্রেনে চেপে সরাসরি কলকাতায় যাওয়া যাবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। যশোরের মানুষের জন্য ২০০টি আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যশোর রেলওয়ে জংশন ও অনলাইনে আজ সোমবার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে।

কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে যশোরে যাত্রাবিরতি (স্টপেজ) দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে যশোর রেলওয়ে জংশনে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য তিন মিনিটের জন্য ট্রেন থামানো হবে। আন্তর্জাতিক এ ট্রেনে যশোরের মানুষের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৭৫টি আসন বরাদ্দ ছিল। পরবর্তী সময়ে নাগরিক অধিকার আন্দোলন করে ২০০ আসনের দাবি জানানো হয়। মন্ত্রী সেই দাবি মেনে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে যশোর রেলওয়ে জংশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার নিগার সুলতানা বলেন, ‘৭ মার্চ থেকে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে যশোর থেকে যাত্রীরা ওঠা-নামা করতে পারবেন। সোমবার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। যশোরের মানুষের জন্য ২০০ আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত চিঠি আমাদের হাতে পৌঁছেছে।’

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামে একটি আন্তর্জাতিক ট্রেন চালু হয়। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনে চড়ার জন্য কেবিনে দেড় হাজার ও চেয়ারের জন্য এক হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। এ ছাড়া ৫০০ টাকা রয়েছে ভ্রমণ কর হিসাবে। বেনাপোলে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর যাত্রীরা সরাসরি খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে পারে। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আসে, আবার বিকেলে খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে যশোরে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে যশোরের জন্য ৭৫ আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে যোগাযোগ করে আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বেনাপোল স্টেশনমাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, শুরু থেকে গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১ বছর ২ মাসে এ ট্রেনে করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন ১৫ হাজার ৫৭৯ জন যাত্রী। এর মধ্যে কলকাতা থেকে এসেছেন ৬ হাজার ৭৪৫ এবং খুলনা থেকে কলকাতায় গেছেন ৮ হাজার ৮৩৪ জন।

যশোর রেলওয়ে জংশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার নিগার সুলতানা বলেন, কলকাতা-খুলনা ট্রেনে যশোর স্টেশনে তিন মিনিটের জন্য দাঁড়াবে। পাসপোর্ট, ভিসা ও টিকিট দেখে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানো হবে। বেনাপোল স্টেশনে নিয়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। টিকিটের দাম কমানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভ্রমণ করসহ ট্রেনের চেয়ারের ভাড়া দেড় হাজার ও কেবিনের ভাড়া দুই হাজার টাকা দিয়েই ট্রেনে দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ করা যাবে। আর অন্য কোনো খরচ নেই।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply