২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ২:১৪/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

অমর একুশের ভাষাসৈনিক সোলায়মান খানের ৬৪তম মৃত্যুবার্ষিকী

     

 

ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী অমর একুশের ঐতিহাসিক আন্দোলনের মহান ভাষাসৈনিক, খেলাফত রব্বানী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সোলায়মান খান এর ৬৪তম মৃত্যু বার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভা আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি, শনিবার) বিকেলে চট্টগ্রাম শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি ইতিহাস গবেষক সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা ইতিহাস চর্চা পরিষদের সভাপতি ইতিহাসবিদ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুছ কুতুবী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম চৌধুরী, নয়ন বড়ুয়া, শাহনুর আলম, আবদুল মজিদ, মোঃ হেলাল উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মোঃ ওসমান, হাবিবুল্লাহ মাস্টার, আবদুল করিম, ডাঃ হেলাল উদ্দিন প্রমূখ। প্রভায় বক্তারা বলেছেন, মাতৃভাষা বাংলা আন্দোলনে সূচনালগ্নে চট্টগ্রামের কৃতি পুরুষ ভাষাসৈনিক অধ্যাপক সোলায়মান খান এর অবদান অপরিসীম। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্থপতি অধ্যক্ষ আবুল কাসেম এর সাথে ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অধ্যাপক সোলায়মান খান খেলাফত রব্বানী পার্টির প্রথম আহবায়ক ও পরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য ভূমিকা রাখেন। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৩ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে নির্বাচন সংগ্রামে তিনি বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন। চট্টগ্রাম নাইট কলেজে শিক্ষকতাকালীন সময়ে তিনি চট্টগ্রামে তমদ্দুন মজলিসের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পালন করেন। আজকের দিনে অনেক বাঘাবাঘা রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ ভাষাসৈনিক প্রয়াত সোলায়মান খান এর কর্মী ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল। ক্ষনজন্মা এই মহাপুরুষ চন্দনাইশ উপজেলা বরকল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে ১৪ ফেব্র“য়ারি কলকাতা থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে রাজবাড়ির অদুরে গোয়ালন্দের মাঝখানে চলমান ট্রেনে সোলায়মান খান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরের দিন তাঁকে গোয়ালন্দ হতে অনতিদূরে উজান চর নাজিরুদ্দিন হাই স্কুলের সম্মুখে জানাজার নামায পর তাঁকে ঐ কবরস্থানে দাফন করা হয়। আজও গোয়ালন্দতে ভাষা আন্দোলনের সৈনিক সোলায়মান খানের স্মৃতি ধরে রেখেছে এলাকাবাসী।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply