২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৮:১৮/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৮:১৮ অপরাহ্ণ

মাইজভাণ্ডারী একাডেমির রূহানী সংলাপে মোহাম্মদ শায়েস্তা খান আল আযহারী

     

 

সম্প্রতি নগরীর চান্দগাঁওস্থ শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট মিলনায়তনে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির মাসিক রূহানী সংলাপে আলোচকগণ তাঁদের বক্তব্যে এ মতামত প্রকাশ করেন। সংলাপের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: “সেমা মাহফিলে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারে শরীয়তের বিধান”। ড. সেলিম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও একাডেমির কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল এর সঞ্চালনায় সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আল্লামা গোলাম মোস্তফা মোহাম্মদ শায়েস্তা খান আল আযহারী। আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আধ্যাত্মিক সঙ্গীত তথা সেমা। এই সেমা সম্পর্কে সাধারণ্যের অনেক ভুল বুঝিবুঝি আছে। এমতাবস্থায় বিজ্ঞ আলোচক আল্লামা শায়েস্তা খান কোরআন-সুন্নার আলোকে ‘সেমার’ গুরুত্ব আলোচনা করে, সমাজ জীবনে উচ্চতর মেধা-মননের ক্ষেত্রে মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ টেনে সেমার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই সেমা বিষয়ক প্রকাশিত গ্রন্থ গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে বিতরণ ও বিপননেরও ব্যবস্থা রেখেছেন মর্যাদাপূর্ণ ভাবে। মাইজভাণ্ডারী তরিকাতেও এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে সেমা। গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী সমকালে মাওলানা আবদুল হাদী কাঞ্চনপুরী এবং মাওলানা আমিনুল হক ওয়াসেলের ব্যবস্থাপনায় এই সেমা, তরিকার সাধনারই অংশে পরিগনিত হয়েছিল। এই সেমা বিষয়ক ভুল ধারনাগুলোর উপর আলোচনা করে আল্লামা শায়েস্তা খান যুক্তিতর্ক দিয়ে উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন যে, সেমা কোন হারাম বা নিষিদ্ধ নয়, বরং রূহানী উৎকর্ষ সাধনের এক অমোঘ মহৌষধ। অনুষ্ঠানে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ তরিকুল আলম, শাহাজাদা অধ্যাপক শফিউল গণী চৌধুরী সহ মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সদস্যগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীগণ, তাজকিয়া’র সদস্য ও মহানগর গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এলাকাধীন শাখা সংগঠনের সদস্যগণ সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply