আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা
চট্টগ্রামের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে সড়ক বিভাজকের ওপর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দোকান নির্মাণে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয় গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের মুরাদপুর, ষোলশহর ও লালখানবাজার র্যাম্পের নিচে একাধিক দোকান ও তিনটি সুপারশপ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ।
জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মো. মাহফুজুর রহমান মিলন জনস্বার্থে রিটটি করেন। তিনি নিজে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিও করেন।
ব্যারিস্টার মো. মাহফুজুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’
রুলে ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ ১১ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইওভারটি রক্ষণাবেক্ষণে প্রতি মাসে ১২ লাখ টাকা খরচ হয়। এ খরচ মেটাতে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে সড়ক বিভাজকের ওপর দোকান ও সুপারশপ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ফ্লাইওভারটির মুরাদপুর, ষোলশহর ও লালখানবাজার র্যাম্পের নিচে একাধিক দোকান ও তিনটি সুপারশপ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ।
তবে শুরু থেকে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সিটি করপোরেশনসহ একাধিক সেবাদানকারী সংস্থা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘ফ্লাইওভারে নিচে দোকান দেওয়া হলে যানজটের সৃষ্টি হবে। এখানে দোকান করতে হলে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। কিন্তু জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে চসিক কোনো ব্যবসায়ীকে ট্রেড লাইসেন্স দেবে না।’