পটিয়া উপজেলা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইমরান হোসেন মুন্না
সারা দেশের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।দলের হাইকমান্ড এর দৃষ্টি আকর্ষন করতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছে । ইতিমধ্যে সামাজিক যোগযোগ ফেইসবুকের মাধ্যমে পটিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জাপার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপজেলা জাতীয় যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন মুন্না ।তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে গত ১২ বছর পর্যন্ত নিয়মিত দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে তিনি দলের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধান বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা আলহাজ্ব হুসেন মুহাম্মদ এরশাদ ও উপনেতা জি. এম. কাদের এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। দলের মনোনয়ন পেতে নির্বাচন করবেন বলে জানান এ প্রতিবেদককে। তবে এখনও পর্যন্ত জাতীয় পার্টির উপজেলা চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এর নাম শোনা যাচ্ছে না। পটিয়ায় জাতীয় পার্টির হয়ে কে নির্বাচন করবে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি কে পেছনে ফেলে বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান দ্বিতীয়। এছাড়াও বিএনপি থেকে কে নির্বাচন করবে সরাসরি কেউ মুখ খুলছে না। আওয়ামীলীগের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একডজন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একডজন নাম শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাঃ তিমির বরণ চৌধুরী, দক্ষিণ ভূর্ষি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, কোলাগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহামদ চৌধুরী টিপু নাম শোনা গেলেও নতুন করে যুক্ত হয়েছে পটিয়া অটো টেম্প শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা লোকমান হোসেন পাপ্পু প্রকাশ ছেলে ভালো সে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ প্রতিবেদকের সাথে উপজেলা জাতীয় যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মু্ন্না জানান, বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২জন এমপি এসএসপি পাস করেনি। তাদের চেয়েও আমি অনেক যোগ্য ব্যক্তি, এছাড়াও আমি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত দলের প্রত্যেকটি অনুষ্টানে আমি অংশগ্রহণ করে থাকি। আমি বলতে চাই সিডি বিক্রেতা আশরাফুল আলম হিরো প্রকাশ হিরো আলম ইউপি মেম্বার পদে নির্বাচন করে হেরে গেলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে সে প্রার্থী হয়ে সারা বাংলাদেশে মিডিয়া পাড়ায়সহ চমক সৃষ্টি করে। নির্বাচনের দিন প্রতিপক্ষরা তাকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। তিনি আরও বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে বগুড়া থেকে এক ব্যক্তি নির্বাচন করে মাত্র ১৭ ভোট পেয়েছিল। বর্তমানে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন। আমি আগামী উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লাঙ্গল মার্কা নিয়ে নির্বাচন করার সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছি তার জন্য পটিয়ার সর্বস্তরের মানুষের এরশাদের ৯ বছরের শাসন আমলের উন্নয়নের কথা মনে রেখে জনগণ আমাকে ভোট দেবে বলে আমি আশাবাদী এবং সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ চাই যেন মানুষের সেবা করতে পারি। এরশাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাকে আগামী নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সহযোগীতা করার জন্য পটিয়াবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।