২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:২০/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৩:২০ অপরাহ্ণ

সংরক্ষিত আসন: ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দিতে হবে জোটের তথ্য

     

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে ৫০টি। এসব আসনের নির্বাচনে আইন বলছে- নবনির্বাচিতদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দল বা জোটগুলো বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের জোটের অবস্থান নির্বাচন কমিশনকে জানাবে। সে মোতাবেক ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তাদের এ সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।

নির্বাচন কমিশন সেই তথ্যের ভিত্তিতে দল বা জোটের দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী কোনো দল বা জোট বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করে সংরক্ষিত আসন বন্টন করবে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে। অর্থাৎ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন এ তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকা প্রস্তুতের পরের কার্যদিবসে অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ্য কোনো স্থানে টানিয়ে দেবে। একইসঙ্গে সংসদ সচিবালয়কে সেই তালিকা প্রত্যায়িত কপি টানানোর জন্য বলবে। নির্বাচনের আগে সেই তালিকার আর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো করণিক ভুল হলে নির্বাচন কমিশন তা সংশোধন করতে পারবে।

এদিকে এর আগেই সংসদ সচিবালয়কে শপথগ্রহণকারী সদস্যদের একটি তালিকা শপথ গ্রহণের তিন কার্যদিবসের মধ্যে মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। যাদের ভোটার হিসেবে গণ্য করবে নির্বাচন কমিশন।
আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ১ এপ্রিলে মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে।

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন আইন-২০০৪ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন জোটের তালিকা প্রকাশ্যে টানানোর পর এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবে। একইসঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ও ভোটের দিন ঘোষণা করবে। এছাড়া ভোটগ্রহণের স্থান নির্ধারণ করবে।

আইন অনুযায়ী, কোনো জোট বা দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কে কত আসন পাবে তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন হবে আনুপাতিক। এক্ষেত্রে মোট সংরক্ষিত আসনকে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে, সেই ভাগফলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দল বা জোট বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার গুণফলই হবে ওই দল বা জোট বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন পেয়েছে। তবে জাতীয় পার্টি (২২ আসন) বিরোধী দলে থাকার ঘোষণা দেওয়ায় সংসদে মহাজোটের প্রার্থী দাঁড়িয়েছে ২৬৬টি। এক্ষেত্রে মহাজোট (আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৭ আসনে জয়লাভ করায়, দলটি পাবে ৪২টি আসন) পাবে ৪৪টি সংরক্ষিত আসন। জাতীয় পার্টি পাবে ৩টি আসন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭টি প্রার্থী অধিবেশন শুরু নব্বই দিন পর্যন্ত শপথ নেওয়া সুযোগ পাবেন। তার পরও শপথ না নিলে সে আসনগুলোতে পুনরায় নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের জন্য ২টি আসন থাকবে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো জোটে যোগ না দিলে তাদের জন্য থাকবে একটি আসন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply