২৮ মার্চ ২০২৪ / ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / বিকাল ৩:৫৫/ বৃহস্পতিবার
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

তরুণদের উদ্দেশ্যে কামাল-ফখরুল বললেন জেগে ওঠো বাঙালি কাণ্ডারি প্রস্তুত

     

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা শুরু করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। গত শুক্রবার দেশের তরুণ সমাজের উদ্দেশ্যে পৃথক ভিডিও বার্তায় কথা বলেছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভিডিও বার্তায় নেতৃদ্বয় তরুণ সমাজকে জেগে ওঠার ডাক দিয়েছেন এবং তরুণদেরকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে তা ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নামক ফেসবুক পেজে এ ভিডিওবার্তা দুটি পাওয়া যায়।

১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় কামাল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ কে? তুমিই তো বাংলাদেশ। আরে বাংলাদেশ তো তুমি। এই যে তুমি ২৫ বছরের ছেলেটা, স্বপ্ন দেখছ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। আর ওই যে তুমি ২২ বছরের মেয়েটা, জয় করতে চাও এভারেস্ট। আরে তুমিই তো বাংলাদেশ। তুমি হার মাননি, আমি জানি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ হারবে না। তরুণদের হাত ধরে একাত্তরের ডিসেম্বরের বিজয়, নব্বইয়ের গণতন্ত্র এসেছে।’ ২০১৮–এর ডিসেম্বরেও তরুণেরা জেগে উঠবে বলে আশা করা হয়। ভিডিওটির শেষে কামাল হোসেন বলেন, ‘জেগে ওঠো বাঙালি, তোমার কান্ডারি প্রস্তুত।’

নতুন ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পৃথক ভিডিও বার্তায় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের মনের কথাটা শুনেছিলাম। শুধু একটা স্বপ্নকে তাড়া করেছিলাম—দেশটা মুক্ত হবে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ। আমার বয়স এখন ৭০। আমি এই বয়সেও একই স্বপ্ন তাড়া করছি। আমি তো আশায় ভরপুর।’ এসময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তরুণদের স্মরণ করিয়ে দেন।

ফখরুল তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি বলি কি আপনারা দেখিয়ে দিন, আপনারাই বাংলাদেশ। ইউ ম্যাটার, আপনারাই দেশের মালিক। আপনার ভোটেই ঠিক হবে এদেশের ভবিষ্যৎ। আপনার বিবেচনা যাকে বলে তাকেই ভোট দিন। আমি সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি।’

তরুণদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘যৌবনে এই দেশটার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। বার্ধক্যে এসে আপনাদের কাছে আমি শুধু একটা দিন চাইছি- ৩০ ডিসেম্বর। শুধু একটা দিন। বাংলাদেশের জন্য। ৩০ ডিসেম্বর সকাল সকাল ভোট দিন। দেখিয়ে দিন যে আপনারা শুধু ভোট দিতেই জানেন না, ভোট ডাকাতিও আটকাতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘এবার অন্তত গণতন্ত্রটা বাঁচাতে হবে। একটা আলো আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম আমাদের যৌবনে। যেটা আমরা আপনাদেরকে দিতে চাই। এ আলোটা আপনারা শুধু আপনাদের সন্তানদের কাছে পৌঁছে দেবেন। তাহলেই হবে। আলোটাকে নিভতে দেবেন না।’

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply