২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / রাত ৪:০০/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:০০ পূর্বাহ্ণ

কোলেস্টেরল কমাতে নিয়মিত খাবেন যে খাবারগুলো

     

কতগুলি রোগকে মৃত্যুর আরেক নাম বলে বিবেচিত করে থাকেন চিকিৎসকেরা। তার মধ্যে অন্যতম হল অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই আর্টারি ছোট হতে শুরু করবে। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়ে গিয়ে দেখা দেবে নানা জটিল রোগ। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনেও দায়ী থাকে এই রোগটি। তাই দীর্ঘকাল সুস্থ থাকতে ৩০-এর কোটা পেরুতে না পেরুতেই এই একটি বিষয়ের দিতে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা উচিত। না হলে কিন্তু বিপদ!
বিশেষত আজকাল কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তাতে অতিরিক্ত সাবধান না হলে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে যে কোনো খারাপ ঘটনা।
এক্ষেত্রে কতগুলো খাবার বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই খাবারগুলো শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশপাশি সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে-
পালস : প্রতিদিন এক কাপের তিন-চতুর্থাংশ মাপের পালস খেলে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমার সম্ভবনা প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
অ্যাভোকাডো : সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে প্রতিদিন যারা এই ফলটি খান, তাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ১৪ এম জি/ডি এল কমে যায়। সেই সঙ্গে কমে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও।
ওটস : প্রতিদিন যারা ওটস খান, তাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা প্রায় ৫ শতাংশ কমে যায়। আপাত দৃষ্টিতে বাজে কোলেস্টরল কমার মাত্রা খুব কম মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু এই পরিমাণই অনেক পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে।
কাজুবাদাম : ব্রেকফাস্টের আগে ১০ গ্রাম করে কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। এমনটা করলেই দেখবেন বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যেতে শুরু করবে। শুধু তাই নয় কাজুবাদাম শরীরে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণও বৃদ্ধি করে। ফলে শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠতে শুরু করে।
শিম : এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। তাই তো যারা ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চাইছেন, তাদের প্রতিদিন এই জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
সয়া : দিনে মাত্র ২৫ গ্রাম করে সয়া প্রোটিন খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ৫-৬ শতাংশ কমে যাবে। তাই তো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ধরনের খাবার এত বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
মাছ : বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি কমাতে চান, তাহলে সপ্তাহে কম করে তিন-চার বার মাছ খেতেই হবে। কারণ মাছে রয়েছে উপকারি আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি অন্যদিকে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply