১৯ এপ্রিল ২০২৪ / ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১১:৩৪/ শুক্রবার
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

হামলায় গুরুতর আহত এক বৃদ্ধা মহিলা॥ আতংকে ৪ গ্রামের মানুষ॥ রামগঞ্জে চোরের করা মিথ্যা মামলায় অনেকেই জেলে॥

     

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ঃ
রামগঞ্জ উপজেলার ফকিরপুর গ্রামের চোরদের হামলায় গুরুতর আহত ৬০ বছর বয়সী জাহানারা বেগম নামের এক বৃদ্ধা মহিলা । হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহানারা বেগম জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধা সাড়ে ৫টায় যখন জাহানারা বেগম তার স্বামী আহসাম উল্যাকে চোরের করা মিথ্যা মামলা গ্রেপ্তারের কয়েক দিন পর সে জামিনে আসে। জামিনে আসার পর পুনরায় পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তখন সে তার নিজ ঘরে এই নিয়ে কান্নাকাটি করে বলতে থাকে কোনো দোষ না করেও কেন হয়রানীর শিকার হচ্ছে তাই সৃষ্ঠিকর্তার কাছে বিচার চাইতে ছিল। তার এই বিচার চাওয়াতে চোর মনির হোসেন,আনোয়ার হোসেন ও আনোয়ারা বেগম তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং ঘরে থাকা মুল্যবান জিনিষপত্র লুট করে নিয়ে যায়। চোর আনোয়ারা বেগমের করা মামলায় কাওনিয়া ,ফকিরপুর, শ্যমদানপুর ও নারায়নপুর গ্রামের মানুষ আতংকে রয়েছে।
এলাকাবাসী জানাযায়, আনোয়ারা বেগমের পরিবারের প্রতিটা সদস্যই চোর তার বাবা চুরি করতে গিয়া কয়েক বারই জনতার হাতে ধরা পড়ে জরিমানা দেয় ও তার স্বামী মনির হোসেন কয়েক বার চুরি করতে গিয়া ধরা পড়ে আর তার ছেলে এমরান হোসেন একাধীক বার চুরির দায়ে জেল হাজতেও গিয়াছে।আর আনোয়ারা বেগমের তো চুরি করাটা নেশা এবং পেশায় পরিনত হয়েছে। দৈত্বের মত দেহের অধিকারিনী এই মহিলা সন্ধার পর বাহির হয় কার কোথায় কি আছে তাহা চোরি করার জন্য। অথচয় এই আনোয়ারা বেগমের করা একটা মিথ্যা মামলায় ৪ গ্রামের মানুষ পুলিশি গ্রেফতার আতংকে রয়েছ।
এলাকাবাসী আরও জানান, ফকিরপুর গ্রামের (কাওনিয়া বাজারের দক্ষিন পাশে বাড়ি) মনির হোসেনের পরিবার দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত এই এলাকায় প্রায় দু’শতাধিক পরিবারকে হয়রানী করছে। কাওনিযা, উত্তর নারায়নপুর, শ্যমদানপুর, ফকিরপুর গ্রামে গত কযেক বছর যাবত ওই পরিবারের সদস্যরা নগদ অর্থ, স্বর্ণলংকার, মোবাইল সেট, আখচাষীর আখ, সবজি চাষী, খেজুর চাষীসহ নারকেল ও সুপারী চোরির ঘটনা করে মানুষ হয়রানী করছে।
মাদক ব্যবসা ও ছিনতাই কারীর ঘটনায় মনির হোসেনের ছেলে এমরান হোসেন ও আনোয়ার হোসেন কয়েকবার জেল হাজতে ছিলেন, মনির হোসেন ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে চুরির ঘটনায় গ্রামবাসীর নিকট একাধিকবার মুছেলেকার প্রমানও রয়েছে। গত ২ রা মার্চ রাত ৯ টায় মনির হোসেনের স্ত্রী আনোয়ারা রাতের আধাঁরে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে কাওনিয়া গ্রামের আতিক মিয়ার একটি খেজুর বাগানে রস চুরি করতে গাছে উঠে।
এলাকার কয়েক জন তাকে খেজুর গাছে থাকায় অবস্থায় আটক করে। আনোযারা বেগম সুযোগ পেয়ে সলেমান নামক এক ব্যক্তিকে মারধর করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময়ে তার কাপড় খুলে মাটিতে পড়ে যায়। সে পেডিকোড ও ব্রেলাউজ নিয়ে পালাতে থাকে এ দৃশ্য গ্রামের একজন যুবক মোবাইলে ভিডিও করেন। এমন ঘটনার সংবাদ পেয়ে ৪ গ্রামের মানুষ রাতে কাওনিয়া বাজারে ঝড়ো হয়ে মনির হোসেন ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ছেলে আনোয়ার, এমরানের সুষ্ঠ বিচার দাবী করে। পশ্চিম মাছিমপুর ওয়ার্ড মেম্বার খিজির আহম্মদ ও নারায়নপুর ওয়ার্ডের বিলাল হোসেন কাওনিয়া বাজারে যান। দু’মেম্বার উত্তেজিত সাধারন মানুষদের শান্তনা দিয়ে স্হানীয় খিজির মেম্বারের নেতৃত্বে । আহত সলেমানের চিকিৎসার খরছ বাবদ মনির হোসেনের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার চিহৃিত দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনার ১০ দিন পরেই কৌশলে জরিমানা টাকা না দিয়ে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষে আনোয়ারা বেগমের দৌড়ানোর দৃশ্যটি ফেসবুকে পােষ্ট করে।
পরেই পুলিশ প্রশাসণ জানতে পেরে আনোয়ারা বেগমকে বাদী করে ইউপি মেম্বার বিলালসহ গ্রামের ১০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। গ্রামবাসির অভিযোগ মেম্বার খিজিরের বিরুদ্ধে মামলা না করে বিলাল হোসেন সহ ঘটনার সাথে জড়িত নহে এমন জণসাধারনের বিরুদ্ধে হয়রানী ও প্রতিহিংসা মুলক মামলা করছে। মামলার সন্দেহ জনক ভাবে কয়েকজনকে আসামী করছে।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply