২৯ মার্চ ২০২৪ / ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ / দুপুর ২:৫৭/ শুক্রবার
মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:৫৭ অপরাহ্ণ

হাওরে বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী

     

হাওর অঞ্চলের বাঁধ নির্মাণে কারো কোনো ধরনের গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘হাওর অঞ্চলে মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এসব বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের অবহেলা থাকলে তা ছাড় দেয়া হবে না।
আজ রবিবার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হাওর এলাকা হাওর এলাকা পরিদর্শনের পর উপজেলার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি কথা বলেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধে থাকে। বাঁওড় এলাকা আমারও এলাকা, আমি বুঝি আপনাদের কষ্ট। এসব এলাকার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এসব এলাকায় বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। শুধু ফসলের ওপর নির্ভরশীল না থেকে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। মাছ উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে মাছের সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতের ব্যবস্থা যেন নেয়া হয়, সে ব্যবস্থা করা হবে। ’
হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাওর এলাকার নদীগুলো যেন ভরাট না হয়ে যায়, সে জন্য নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে। হাওর এলাকায় খাল কাটা হবে এবং এসব খাল যেন বেশি পানি ধারণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাওর উন্নয়ন বোর্ড সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাওর বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ হাওরে যে পানি জমা হয়, এই পানিই সারা বছর নদীতে যায়। এই পানি এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
শেখ হাসিনা বলেন, শেখ হাসিনা জানান, হাওরের বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণের জন্য ৩ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতি পরিবারকে মাসে ৫০০ টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
যেসব বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হাওর অঞ্চলে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাদের আপাতত কিস্তি আদায় স্থগিত করে সুদ মওকুফের আহ্বান জানান তিনি।
ইউনিয়ন পর্যায়ে ওএমএসের ডিলার নিয়োগ করে চাল বিক্রির জন্য খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরাঞ্চলে ওএমএসের ডিলার নিয়োগ করা হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে যতদিন প্রয়োজন ততদিন খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও স্থানীয় এমপি জয়া সেনগুপ্তা।
কয়েক দিনের টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে এলাকার উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার কৃষকের জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply