১৬ এপ্রিল ২০২৪ / ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:৩৪/ মঙ্গলবার
এপ্রিল ১৬, ২০২৪ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন পূরণে মোস্তাফা জব্বারের আনন্দ মাল্টিমিডিয়া

     

ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন মুরাদ

বাংলাদেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী এক দর্শন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য। বাঙালি জাতির স্বপ্নপুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা। সমৃদ্ধ ও উন্নত সেই সোনার বাংলা গড়তে নতুন অভিধা হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিপাদ্য বাস্তবায়িত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বেই। দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হতে চলেছে লাল-সবুজের এ দেশটি। অনাহার, অর্ধাহার, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অনুন্নত যোগাযোগ খাতসহ অভাব আর অপ্রতুলতার মতো পীড়াদায়ক শব্দগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের মানচিত্র থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে শিগগিরই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হবে সন্দেহের অবকাশ নেই। নেতৃত্বের এই বলিষ্ঠতা ও দৃঢ়তা আমাদের বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বড় অর্জন উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে আসা। এ ক্ষেত্রে বড় সহায়ক ছিল তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে উদ্ভাবনী ভাবনা ও সময়োপযোগী যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ। “ডিজিটাল বাংলাদেশ” একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন, বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে। একুশ শতকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্ত্রী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানই ছিল তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান বিষয়। ১২ ডিসেম্বর ২০০৮ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে যে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ “ডিজিটাল বাংলাদেশ” পরিণত হবে। একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, একটি ডিজিটাল যুগের জনগোষ্টী, রূপান্তরীত উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি সব মিলিয়ে একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্নই দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। প্রযুক্তি বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন মোস্তফা জব্বার। তাঁর জন্ম ১২ আগস্ট ১৯৪৯ সাল। তিনি একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও মন্ত্রী। তাঁর চলমান জীবনে তিনি প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গড়ার ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ালেখা ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেন। ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা সম্পর্কে প্রথম নিবন্ধ লিখেন তার দ্বারাই ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার লিপিবদ্ধ হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি ২০০৯ সালের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” সামিট নামক এবিষয়ে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো আলোচিত হয়। তিনি ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি থেকে মন্ত্রী সভার শেষ মেয়াদ দিন পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফ্টওয়ার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি। তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিজয় বাংলা কীবোর্ড ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় যা ইউনিকোড ভিত্তিক অভ্র কি-বোর্ড আসার পূর্ব পর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলো বইয়ের লেখক তিনি। ছাত্র জীবনে মোস্তফা জব্বার রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য চর্চা, সাংবাদিকতা, নাট্য আন্দোলনের সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম নেতা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের পক্ষে নির্বাচন করে সূর্যসেন হলের নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দেশে কম্পিউটারের শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত আন্দোলন ও শিক্ষায় কম্পিউটার প্রচলনের জন্য মোস্তফা জব্বার এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অনেক কমিটির সদস্য। তিনি কপিরাইট বোর্ড এবং বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক অথরিটির সদস্য। তিনি তথ্য প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখা এবং বিজয় বাংলা কি-বোর্ড তৈরী করেন। কম্পিউটার শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন ও কম্পিউটার স্বাক্ষরতা প্রসারে ব্যাপক উদ্যেগ গ্রহন করে চলেছেন। দেশজুড়ে মাল্টিমিডিয়া প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা ছাড়াও তিনি বিজয় ডিজিটাল স্কুল এবং আনন্দ মাল্টিমিড়িয়া স্কুলের সাহায্যে শিক্ষা ব্যবস্থার নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করেছেন। দেশব্যাপী আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের বিভিন্ন শাখা প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের সাধারণ সিলেবাসের বাইরে আধুনিক মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে পাঠদান করে যাচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীগণ প্রবেশ করতেছে প্রযুক্তির নতুন নতুন জগতে। শিক্ষার্থীগণই আগামীতে দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। আর একজন প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার যে স্বপ্ন লালিত করেছিলেন তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। জয় হোক আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের। স্বপ্ন পূরণ হোক মোস্তাফা জব্বারে। গড়ে উঠুক ডিজিটাল বাংলাদেশ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply