বাঁশখালীতে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে
সম্প্রতি মনতাবরটেক প্রকাশ কুমারপাড়ারটেক সংলগ্ন মতুরা ডেঙ্গা মসজিদ ও রুদ্রপাড়া শ্মশানের মাঝখান দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার পাহাড় কেটে ভিতরে লটমনি পাহাড়ের চুড়ায় এক রাজ প্রাসাদ তৈরি করছেন। এক মাইল দুর থেকে পাহাড়ের উপর দিয়ে জহির নামের এক ব্যাক্তির বাড়ি থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। সাতকানিয়া থানার মধ্যম কাঞ্চনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খন্দকার পাড়ার মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে প্রকাশ বেগুণ বেয়ারির নাতি মোহাম্মদ এরশাদ নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজারে তার একটা “মা এন্টারপ্রাইজ” নামের বোরকার দোকান আছে। মূলত এরশাদ ছিলেন সামান্য একটা চায়ের দোকারে মেসিয়ার। এখন সে বোরকার দোকানের আড়ালে অবৈধ চোরাচালানী, ইয়াবা ট্যাবলেট, নারী পাচার ও মাদকদ্রব্যসহ এমন কোন কাজ নেই সে করে না। এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারলাম এটা সরকারি পাহাড়। যেখানে সরকার প্রতিবছর স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত বৃক্ষরোপণের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছে এবং পাহাড়কাটা বন্ধে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে সেখানে বোরকার দোকানের আড়ালে ইয়াবা ব্যবসায়ী শত শত একর পাহাড় কাটছে এবং বৃক্ষ নিধন করছে। তার এত খুঁটির জোর কোথায়? প্রশাসন নীরবে ঘুমিয়ে আছে। ঐ পাহাড়ে এরশাদ প্রায় ১৬ খানি পাহাড় জবরদখল করে রেখেছেন। তার বিলাসী জীবন যাপনের জন্য রয়েছে একটি ঘোড়া।
ঐ পাহাড়ে রয়েছে হিন্দুদের বহু পুরোনো মহাশ্মশান। ঐ শ্মশানে চিরতরে ঘুমিয়ে আছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মেঘনাথ রুদ্র। ঐ শ্মশান থেকে পাহাড় কেটে রাস্তা কাটা শুরু। ঐ সরকারি পাহাড় কাটা মাটি গুলো প্রতিরাতে তার বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। ঐ পাহাড় কাটার কারণে পাহাড় ধসে আমির খামজার ২টি গরু এবং তার দুই বছর আগে আমির সওদাগর নামের এক ব্যাক্তি মা ও মেয়ে মারা যান। অনেকে পাহাড় কাটা বন্ধ করতে বললে এরশাদ বলেন তার সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যোগাযোগ আছে। কোন মিডিয়া এসে আমাকে (খারাপ ভাষায়) কিছু করতে পারবে না। এরকম অনেক মিডিয়া আমার পকেটে থাকে। তিনি বলেন, ডিসি সাহেবের বাসা যদি পাহাড়ের চুড়ায় হতে পারে, আমি ইয়াবা ব্যবসায়ী এরশাদের বাসা কেন পাহাড়ের চূড়ায় হতে পারবে না? ঐ লটমনি পাহাড়টা বাঁশখালী থানার অন্তর্গত হলেও বাঁশখালীর পূর্ব পার্শে সীমান্তে পড়াতে সাতকানিয়ার বাসিন্দারা ভোগদখলে আছেন। এরশাদ ১/১২/২০১৫ ইং সালে চার হাজার ইয়াবা সহ কোতোয়ালী থানায় গ্রেফতার হন বর্তমান পাহাড় দেখাশুনা করার আবদুল মন্নানের ছেলে কেয়ারটেকার নবী হোসেন সহ, যাহা ঐসময় দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত হয়েছে। এব্যাপারে পাহাড় কাটা বন্ধ করে সরকারি সম্পদ রক্ষা সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য জনস্বার্থে প্রসাশনিক সহযোগিতা কামনা করছি।