ব্ল্যাক হোলের সন্ধ্যান পেয়েছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা
মহাভারতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতে ঘূর্ণায়মান ‘সুদর্শন চক্র’টির কথা অনেকেরই হয়তো মনে আছে। ঠিক একই কলেবরের অদ্ভূত গতিসম্পন্ন একটি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধ্যান পেয়েছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
তাদের উপগ্রহের চোখে পাগলাগে এই ব্ল্যাক হোলটি প্রথম ধরা পড়ে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর আগে এত দ্রুত ঘুরতে দেখা যায়নি কোনও ব্ল্যাক হোলককে। এটি দেখতে অনেকটাই লাঠিমের মতো।
তবে নাসার মহাকাশযান চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির পাঠানো তথ্যে সর্বপ্রথম অসম্ভব রকমের পাগলাটে এই ব্ল্যাক হোলটির আভাস মিলেছিল। যদিও বিষয়টি তখন তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বছর তিনেক আগে ইসরোর পাঠানো উপগ্রহ ‘অ্যাস্ট্রোস্যাট’-এর সিগন্যালেও ব্ল্যাক হোলটি নজরে আসে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ।
গবেষকদলের প্রধান টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (টিআইএফআর)-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এই ব্ল্যাক হোলটি রয়েছে দু’টি তারার একটি নক্ষত্রমণ্ডল বা বাইনারি সিস্টেমে। যেখানে আমাদের সূর্যের মতো রয়েছে দু’টি নক্ষত্র। তারা একে অন্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে উত্তরোত্তর কাছে চলে আসছে। আর ওই ব্ল্যাক হোলটি একটি নক্ষত্রের শরীরের অংশ গোগ্রাসে গিলে ফেলছে। ’