২৫ এপ্রিল ২০২৪ / ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / সকাল ১০:৪৯/ বৃহস্পতিবার
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আমার কোন ক্যারিশমা নেই – আবদুচ ছালাম

     

 সব ক্যারিশমা
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার
শুরু হল লালখান বাজার হতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ। সিইপিজেড ও চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় প্রথম দফার কাজের উদ্বোধন করেন এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।
আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় পাইলিং কাজ উদ্বোধনকালে মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েল কাজ শুরু হলো।
নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে এক সভা সুলতান নাছির আহাম্মদ কন্ট্রাক্টরের সভাপতিত্বে সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আবদুচ ছালাম। এসময় তিনি বলেন, প্রায় ৩২৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বিমান বন্দর-বারিক বিল্ডিং-লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েল কাজ। এতে করে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তথা বন্দর সংশ্লিষ্ট কাজে যুগান্তকারী পরিবর্তন ও গতিশীলতা সৃষ্টি হবে। দীর্ঘদিন ধরে যানযটে নাকাল বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর ও ইপিজেড সংশ্লিষ্ট পতেঙ্গা, হালিশহর এলাকার মানুষ নতুন দিনের নতুন আলোয় উদ্ভাষিত হবে। যে পথ যেতে এখন দুই আড়াই ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়নের সে পথ যেতে সময় লাহবে মাত্র ত্রিশ মিনিট। জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম আধুনিক বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে একের পর এক অনেকগুলো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছেন। আজ প্রায় ২০হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের তিনটি বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। চাক্তাই কালুরঘাট রিভার ড্রাইভ রোড, বে টার্মিনাল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মান কাজ শুরু চট্টগ্রামের উন্নয়নের ইতিহাসে এক অবিষ্মরণীয় অধ্যায়।
তিনি আরো বলেন, আমার কোন ক্যারিশমা নেই সব ক্যারিশমা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার। এই এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মান কাজে অনেক বাধা অতিক্রম করে আজকে শুভ সূচনা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে এলিভেটেটের বিরুদ্ধে অনেক মানববন্ধন করেছেন। আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে আজকে এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়েল নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে তাঁর দ্বিতীয় মাতৃভূমি হিসেবে মানেন। তাই তিনি ২০০৮ এর নির্বাচনের পূর্বে লাল দীঘির ময়দানে ঘোষনা দিয়ে দীর্ঘকাল কাঙ্কিত উন্নয়ন বঞ্চিত চট্টগ্রামের উন্নয়নের ভার নিয়েছিলেন। তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। তাঁর আন্তরিকতায় চট্টগ্রাম আজ স্বপ্ন ছোঁয়ার কাছেই অবস্থান করছে। এ দশ বছরে যে উন্নয়ন চট্টগ্রামে হয়েছে, একসাথে এত উন্নয়ন ছিল কল্পনারও অতীত।
উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে। চট্টগ্রামের সবকটি আসন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়ে চট্টগ্রামবাসী আবারো জাতীয় উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিডিএ বোর্ড সদস্য কেবিএম শাহজাহান, সিডিএ বোর্ড সদস্য ও কাউডিন্সলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মহিলা কাউন্সিলর শাহীনুর বেগম, জিয়াউল হক সুমন, সাবেক মো. আসলাম, শাহদাত হাসান, আবু তাহের, নুরুল আলম, হাজী আব্দুর রউফ। উপস্থিত ছিলেন সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান, সিডিএ উপসচিব অমল গুহ, মো. নাজের, ওমর ফারুক, মো. আলী কন্ট্রাকটার, কামাল উদ্দিন, জাবেদ কন্ট্রাক্টার, আক্কাস উদ্দিন সওদাগর, মো. ফরিদ নেওয়াজ, মো. ইলিয়াছ, আনোয়ার হোসেন, হাজী আ. মানিক, মাঈনুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন রাজ প্রমুখ সভায় দোয়া মোনাজাত করেন মওলানা হাজী মো. ইলিয়াছ।

About The Author

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply